ঋণ খেলাপির তথ্য লুকিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক

|

আলমগীর হোসেন:

ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকাতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের তালিকা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে অবশ্য অভিযোগ উঠে, খেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতেই পুনঃতফসিল সহজ করা হচ্ছে।

কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, ঋণের তথ্য যেভাবেই হালনাগাদ হোক, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে সিআইবি। খেলাপির তথ্য লুকিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, আইনই আছে ঋণ খেলাপিরা নির্বাচন করতে পারবে না। তাদের তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। আমরা প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত দেবেন।

ঋণ খেলাপিদের কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাহলে ব্যাংকিং খাতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। খেলাপিরা নির্বাচিত হয়ে আরও প্রভাব বিস্তার করবে বলেও আশঙ্কা তাদের।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, জনপ্রতিনিধি হলে তারা আরও ঋণ নিয়ে খেলাপি হবেন। তাদের কাছে তো তখন রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকবে।

ঋণ পুনঃতফসিলে কমানো হয়েছে নগদ জমার পরিমাণ। খেলাপির তথ্য হালনাগাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। এর ফলে খেলাপি নির্বাচনে অংশ নেয়া সহজ হবে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, খেলাপিদের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই দেয়া হবে।

ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী আরও বলেন, এখন তো ঋণখেলাপি নির্বাচন করে। আগে একটা নিয়ম-কানুন ছিল। অন্তত রিগুলাইজড হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতো। এখন তো এটার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ব্যাংকের কাছেই। তাই এবার কোনো ঋণখেলাপি ধরা পড়ছে না।

মেজবাউল হক বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কিন্তু মূল সার্ভার। আমরা যখন ইসি থেকে তথ্যগুলো পাবো, তখন আমাদের সার্ভারে প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য খোঁজা হবে। এরপর প্রতিবেদন তৈরি করবো।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরইমধ্যে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও সংগ্রহ করছেন মনোনয়নপত্র। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply