বেঁচে থেকেও মৃত হালিমা খাতুন। শরীয়তপুরে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার জটিলতায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই বৃদ্ধা। কিছুতেই তার ডেড স্ট্যাটাস সংশোধন হচ্ছে না। তাই ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ সুবিধাও তিনি পাচ্ছেন না। বঞ্চিত বয়স্ক ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা থেকে।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি বিধবা হালিমা খাতুন। আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় তখন থেকেই বিড়ম্বনার শিকার তিনি। এবার সেই বিড়ম্বনা রূপ নিয়েছে ভোগান্তিতে। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হালিমা খাতুনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার পর ছেলে ও পুত্রবধু জানতে পারেন ২০১৯ সাল থেকে তিনি মৃত।
বৃদ্ধা হালিমা খাতুনের ছেলে জানান, বয়স্ক ভাতার জন্য গেলে জানতে পারি, খাতায় কলমে আমার মা নাকি ছয় বছর আগেই মারা গেছেন। এখন তার প্রাপ্ত বয়স্ক ভাতা থেকে তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবিও জানান তিনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বারবার যোগাযোগ করেও সমাধান মিলছে না বলে জানা গেছে। বড় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, হালিমা খাতুনের বয়স্ক ভাতার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করলে দেখা যায়, তিনি মৃত। তাই তার এই আবেদন বাতিল করে দেয়া হয়। এর দায় ইউনিয়ন পরিষদের নয়। নির্বাচন কমিশন এবং সার্ভারের জটিলতা।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের দাবি, আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় হালিমার ডেড স্ট্যাটাস সংশোধন হচ্ছে না। শরীয়তপুরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, হালিমা খাতুনকে এনে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলে না। তবে এটি নির্বাচন কমিশনের আইটি বিভাগে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে।
এতদিনেও তথ্য সংশোধন বা হালনাগাদ না হওয়ায় ভাতা বঞ্চিত হালিমা খাতুনকে বিভিন্নজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে।
এসজেড/
Leave a reply