ইন্দোনেশিয়ার ‘মাউন্ট মারাপি’ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অর্ধ-শতাধিক মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। পরদিন পর্বতারোহীদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। এদিন ২৬শ’ ফুট ওপর পর্যন্ত ছড়ায় ছাই আর কালো ধোঁয়া। যার ফলে সীমিত করা হয় উদ্ধার কার্যক্রম। মঙ্গলবার সকালে অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য আরও ২০০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় সেখানে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছিল বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
উদ্ধারকারীরা জানান, এখনও নিখোঁজ ১৮ জন। জ্বালামুখের খুব কাছেই কয়েকজনের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। আগুনের হল্কা আর ছাইয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা। পর্বতচূড়ার ৫ থেকে ৬ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করেন ১৪শ’ মানুষ। তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এর ট্রেইল বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গত জুনে কিছু ট্রেইল পুনরায় খোলা হয়। ১৯৭৯ সালে মারাপিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তখন ৬০ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা সাধারণ ব্যাপার।
/এএম
Leave a reply