দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। গেলো ক’দিন ধরে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়ামের মধ্যে ওঠানামা করছে। কনকনে ঠাণ্ডার সাথে কুয়াশায় দুর্ভোগ বেড়েছে গ্রামাঞ্চলের মানুষের। দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে।
এমন শীতের মধ্যেও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে খেটেখাওয়া মানুষরদের। শীতের দুর্ভোগের বিষয়ে মেহেরপুর সদরের ছিয়ামদ্দিন শেখ নামের এক কৃষক বলেন, শীতে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু পেটের দায়ে বের হয়েছি। কাজ না করলে খাবো কী?
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মতো উত্তরেও জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যা থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে প্রকৃতি। বেলা গড়ালে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ নেই। পর্যাপ্ত শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে হতদরিদ্র আর ছিন্নমূল মানুষের। তবে কোথাও কোথাও
সরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করা হলেও সেটি চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের এক বৃদ্ধা বলেন, শীতে শেষ হয়ে গেলাম। গরম কাপড় পাইনি। শীতের যে কাপড় আছে তা দিয়ে রাত কাটে না।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, ২০ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করেছি। শীত পড়তে শুরু করেছে। সেজন্য ইউএনও’র দ্রুত এগুলো বিতরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু আর বয়স্ক। এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. তপন কুমার রায় বলেন, হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়ে গেছে। এছাড়া ডায়রিয়ার রোগীও বাড়ছে।
/এনকে
Leave a reply