ফিলিস্তিনিদের কঙ্গোয় পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল

|

ফিলিস্তিনিরা রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিশরে পাড়ি দিচ্ছেন। টাইমস অব ইসরায়েল।

গোপনে ফিলিস্তিনিদের আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বুধবার (৩ জানুয়ারি) এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

মন্ত্রিসভার এক সদস্যের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কঙ্গো ছাড়াও আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশের সাথে চলছে আলোচনা। সম্প্রতি, নেতানিয়াহু সরকারের দুই মন্ত্রী গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার কথা বলায় পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক সমালোচনার মুখে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় তিনমাস যাবৎ লাগাতার ইসরায়েলি আগ্রাসনে পুরো গাজা উপত্যকাই ধ্বংসস্তূপ। বিপুল মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই।

নেতানিয়াহু প্রশাসনের এমন বর্বরতায় অভিযোগ উঠেছে, হামাস নয় বরং গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের নির্মূলই তাদের লক্ষ্য। অবশ্য জাতিগত নিধণের এই দায় বরাবরই অস্বীকার করছে তেল আবিব।

টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এরইমধ্যে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে রাজিও হয়েছে মধ্য আফ্রিকার দেশটি। আলোচনা হচ্ছে আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশের সাথেও। সম্ভাব্য তালিকায় আছে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবও। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুই নাকি দিয়েছেন এই বার্তা। যদিও এই প্রতিবেদন নিয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি তেলআবিব।

কয়েকদিন আগেই, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিশ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে বিতারিত করার মন্তব্যে পড়েন আন্তর্জাতিক মহলের তোপের মুখে। এমনকি ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও তাদের বক্তব্যকে উষ্কানিমূলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্রান্সও। বাধ্য হয়ে নেতানিয়াহু প্রশাসন জানায়, মন্ত্রীরা যা বলেছেন তা তাদের ব্যক্তিগত মত।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ১১ কোটির বেশি বাসিন্দার কঙ্গোয় মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৫২ শতাংশই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। রাজনৈতিক সংঘাতে জর্জরিত দেশটির সমাজেও রয়েছে ব্যাপক বৈষম্য।

এর আগে, ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে প্রাণ বাঁচাতে পশ্চিম তীর, জেরুজালেম ছেড়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন বহু ফিলিস্তিনি। যাদের কেউই আর নিজ ভূমিতে ফিরতে পারেননি।

\এআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply