ছয় বিভাগে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলেও বরাবরই সবার আগ্রহ থাকে শান্তি পুরস্কার নিয়ে। আজ ঘোষণা হবে শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম। এবার, ৩১৮টি মনোনয়নের কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এরমধ্যে, ব্যক্তি আছেন ২১৫ জন, বাকিগুলো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা।
নোবেল নিয়ে বরাবর-ই থাকে লুকোচাপা; এমনকি প্রকাশ হয় না সংক্ষিপ্ত তালিকাও। তবুও প্রতিবারের মতো জনপ্রিয় নোবেল ‘পিস প্রাইজ’ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাষ।
এক দশকের বেশি সময় ধরে নোবেল বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা ব্রিটিশ জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান- ল্যাডব্রকস বলছে, ধারাবাহিকতা অনুসারে এবার নোবেল পাওয়ার কথা কোন প্রতিষ্ঠান-সংস্থা বা শান্তি উদ্যোক্তা দলের। তবে গুরুত্ব পাচ্ছে একই কাজে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যৌথভাবে নোবেল পাওয়ার বিষয়টি।
ওই তালিকার শীর্ষে, ইরানের সফল পরমাণু চুক্তির কুশীলবরা। আরও স্পষ্ট করে বললে, ইইউ’র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফ্রেদেরিকা মোঘেরিনি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
হট-ফেভারিট তালিকায় রয়েছে সিরিয়া’র সিভিল ডিফেন্স গ্রুপ ‘হোয়াইট হেলমেটস’ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলটির প্রধান রাদ আল সালেহ। গৃহযুদ্ধের ৫ বছরে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৬০ হাজারের বেশি আহত মানুষকে উদ্ধার করে সংগঠনের কর্মীরা। তাদের নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি গেলো বছর অর্জন করে, অস্কার।
এবারই প্রথম শান্তিতে নোবেল পাওয়ার আলোচনায় তুরস্কের নিন্দিত ও নন্দিত দৈনিক ‘জামুরিয়াত’। জুটি হিসেবে রাখা হচ্ছে সম্পাদক জান দুনদাশকে। ব্যর্থ গণ-অভ্যুত্থান এবং এরদোগান প্রশাসনের কঠোর সমালোচক সম্পাদক এখন জার্মানিতে নির্বাসিত।
১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে নোবেল পাওয়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন- UNHCR এবারও আছে আলোচনায়। শোনা যাচ্ছে, হাই-কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি’র নামও। প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, এ ক্যাটাগরিতে আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। কারও কারও দাবি, আলোচনায় আছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
শান্তি পুরস্কারের জন্য কেউ কেউ খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের কথা বললেও, ডোনাল্ড ট্রাম্প, জ্যাক শিরাক বা ভ্লাদিমির পুতিনের মতো বির্তকিত রাজনীতিকদের নামও উড়িয়ে দিতে চায় না একটি পক্ষ।
Leave a reply