আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় কোনো কৃত্তিম বস্তু বা শরীরের কোনো অঙ্গ ব্যবহার করে অথবা অন্য কোনো উপায়ে বলকে বিকৃত ও আকার পরিবর্তন করতে পারবেন না। মূলত বলকে চলতে দিতে হবে তার স্বাভাবিক নিয়মে। অর্থাৎ বল টেম্পারিং ক্রিকেটের নিষিদ্ধ নিয়মের মধ্যে অন্যতম।
কিন্তু আদৌতেই কি বল টেম্পারিং করা থেকে বিরত থাকেন ক্রিকেটাররা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের বোলাররাই বলের অবস্থান পরিবর্তন করতে গিয়ে পড়েছেন বিপদে, পেতে হয়েছে শাস্তিও। যার মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানের বোলাররা। বাদ যাননি অস্টেলিয়ার মতো দেশের ক্রিকেটাররাও।
সম্প্রতি এক শো ‘গেস্ট ইন দ্যা নিউজরুমে’ বল টেম্পারিং নিয়ে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করে বসেন ভারতের সাবেক পেসার প্রবীণ কুমার। ২২ গজে রিভার্স সুইং পেতে বোলাররা কী করতেন সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। জানালেন পাকিস্তানের বোলাররা বল টেম্পারিং করতো। একই সাথে বলেছেন ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দলের বোলাররাও অতীতে টেম্পারিং করেছে।
প্রবীণ কুমার বলেন, বিশ্বের সবক’টি ক্রিকেট দলই কম বেশি বল টেম্পারিং করে থাকে। তবে পাকিস্তানের বোলাররা এটি একটু বেশিই করতো। যদিও এখন সব জায়গায় ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু আগে সবাই এটা করতো এবং সবাই তা জানতো। তারা বলটাকে স্ক্র্যাচ করতো একদিক থেকে। তবে সেই বল কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটি অপর প্রান্তের বোলারকেও জানতে হতো। ধরুণ আমি যদি বলটি স্ক্র্যাচ করে কারও হাতে তুলে দেই, তার অবশ্যই রিভার্স-সুইং করানোর দক্ষতা থাকতে হবে।
রিভার্স সুইয়ের জনক বলা হয় পাকিস্তানের সাবেক পেসার সরফরাজ নাওয়াজকে। পরে ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়াকার ইউনিসেরা দক্ষতার সঙ্গে রিভার্স সুইং করতেন। বর্তমানে বিশ্বের অনেক পেসাররাই রিভার্স সুইং করতে পারেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে জহির খান, মোহাম্মদ শামিদের এই দক্ষতা আছে। প্রবীণের দাবি অনুযায়ী, বল বিকৃত না করলে রিভার্স সুইং করানো সম্ভব নয়। এছাড়াও তার মতে, পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা রিভার্স সুইংকে যে শিল্প বলেন, সেটি নাকি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেলেছেন প্রবীণ। দেশের হয়ে ৬টি টেস্ট, ৬৮টি ওয়ানডে এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর উইকেটের সংখ্যা ১১২। সেই সাথে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে প্রবীণের।
/আরআইএম
Leave a reply