কারাগার থেকে আসামি পলায়ন: রিপোর্টের প্রতিবাদ ও আমাদের বক্তব্য

|

গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপারের বাসায় কাজ করতে গিয়ে পালিয়ে যায় নাজমুল ইসলাম নামে এক আসামি। এ নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর যমুনা টেলিভিশনের অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিষয়টি নজরে এলে প্রতিবাদ জানান গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার।

জাবেদ মেহেদী সাক্ষরিত প্রতিবাদে বলা হয়, জেল সুপারের বাসা কারাগারের প্রধান ফটক থেকে দূরে। কারাগারের কোনো বন্দিকে কোনো অবস্থায় প্রধান ফটকের বাইরে আনা হয় না। তাই প্রকাশিত খবরটি তথ্যবহুল নয় বলে দাবি করা হয়।

প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে যমুনা টেলিভিশন পুরো চিঠিটি খতিয়ে দেখে। যেখানে উল্লেখ করা হয়, সেদিনের ঘন কুয়াশার কথা। এও বলা হয়েছে, কোনো কয়েদিকে প্রধান ফটকের বাইরে আনা হয় না। কিন্তু নাজমুল নামের ওই কয়েদিকে বাইরে আনা হয়েছে কী হয়নি, চিঠিতে তা স্পষ্ট উল্লেখ নেই। কেন ঘন কুয়াশার কথা উল্লেখ করা হল, তাও বিস্তারিত নেই।

মূলত যমুনা টেলিভিশনের হাতে তথ্য আসার পর জেল সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। বার বার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তখন যোগাযোগ করা হয় কারাগারেরই আরেক জনের সঙ্গে। যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকলেও সব তথ্য দেন। যার প্রমাণও সংরক্ষিত রয়েছে যমুনা টেলিভিশনের হাতে। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই সংবাদ প্রকাশ করে যমুনা টেলিভিশনের অনলাইন।

যদিও সংবাদ প্রকাশের পর জেল সুপার ফোন করেন। পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও আসামি তার বাসায় কাজ করছিল না বলে দাবি করেন তিনি।

যমুনা ছাড়াও মূলধারার অনেক গণমাধ্যমই নিউজটি প্রকাশ করে। সবাই যে যার মতো বিশ্বাসযোগ্য সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে খবরটি প্রকাশ করে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

প্রকৃতপক্ষে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশই যমুনা টেলিভিশনের প্রধান দায়িত্ব। কখনই কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করা আমাদের লক্ষ্য নয়।

এদিকে, কয়েদি পালানোর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় কারাগারের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সচেতন মহল।

/এমএমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply