ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের সাথে যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যেই আরও শক্তিশালী হলো ইরানের সমরভাণ্ডার। তাদের সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগারে যুক্ত হয়েছে নজরদারিসহ বিভিন্ন ধরণের বিপুল সংখ্যক অত্যাধুনিক ড্রোন। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শত্রুদের মোকাবেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সেনাবাহিনীর কাছে আবাবিল-৪, আবাবিল-৫, আরাশের মতো ভয়ঙ্কর সব ড্রোন হস্তান্তর করা হয়। এক প্রতিবেদনে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত যতো বাড়ছে, ততোই জোড়ালো হচ্ছে ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের সাথে ইরানের যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কা। ইরাক-সিরিয়ায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় এরইমধ্যে তেল আবিব-তেহরানের উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়েছে। চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকিও।
এই উত্তেজনার মধ্যেই শত্রুদের মোকাবেলায় ব্যাপক রণপ্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইরান। তারই ধারাবাহিকতায়, দেশটির সামরিক বাহিনীর ভাণ্ডারে যুক্ত হলো বিপুল সংখ্যক ড্রোন। সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর কাছে নতুন ড্রোনগুলো হস্তান্তর করা হয়। সব সমরযানই ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি।
সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগারে বাড়নো হলো আবাবিল-৪ ও আবাবিল-৫ এর মতো যুদ্ধযান। যা একসাথে নজরদারি, তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ ও হামলার কাজে ব্যবহারের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। বাড়ানো হয়েছে আরাশ ও বাভার ড্রোনের সংখ্যা। দূরপাল্লার এসব ড্রোন নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আলোচিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী কারার ড্রোনও রয়েছে সমরাস্ত্রের নতুন চালানে। যা ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পাশাপাশি প্রতিহত করতে পারে প্রতিপক্ষের হামলাও।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মহড়া চালিয়েছে তেহরান। যেখানে দেশটির তৈরি বিভিন্ন ধরণের ড্রোনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শন করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ড্রোনের ব্যবহার। অন্যান্য সমরাস্ত্রের তুলনায় এই অস্ত্র ব্যবহারে সাফল্যের হারও তুলনামূলক বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর সাত অক্টোবরে হামাসের আকস্মিক হামলায়ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আলোচনায় এসেছে ড্রোন। এই একুশ শতকে ড্রোন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছে যে কয়টি দেশ তারমধ্যে অন্যতম ইরান।
\এআই/
Leave a reply