ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করছে কলম্বিয়ার নাগরিক

|

ইউক্রেনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের সবাই আহত হয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে। তবে তাদের কেউই ইউক্রেনের নাগরিক নয়। তারা ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের লাতিন দেশ কলম্বিয়া থেকে ইউক্রেন গিয়েছেন যুদ্ধ করতে। বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে এই তথ্য।

বেশ কিছুদিন ধরেই ফ্রন্টলাইন থেকে আসছে ইউক্রেনের সেনা সংকটের খবর। দেশটির নাগরিকদের অনেকেই এখন যুদ্ধ করতে আগ্রহী নন। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন লোভনীয় বেতন দিয়ে কলম্বিয়া থেকে বিপুল সংখ্যক ভাড়াটে যোদ্ধাকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাঠিয়েছে ইউক্রেন।

এসব বিদেশিদের একেক জনকে প্রতিমাসে দেয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৩শ’ ডলার পর্যন্ত। যা কলম্বিয়ান সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বেতনের পাঁচ থেকে ছয় গুণ। এছাড়া, আহত হলে ২৮ হাজার ৬৬০ ডলার এবং মারা গেলে পরিবারকে দেয়া হয় ৪ লাখ ডলার।

একজন ভাড়াতে যোদ্ধা বলেন, কলম্বিয়ায় একজন সেনা ছয় বছর সামরিক বাহিনীতে কাজ করার পরও মাসে ৬০০ ডলারের বেশি আয় করতে পারে না। সেই একই সেনা ইউক্রেনে যুদ্ধ করে মাসে আয় করছে ৩ থেকে চার হাজার ডলার। সে কারণেই, অনেকে এই যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।

যুদ্ধ করতে গিয়ে হতাহতের পাশাপাশি অনেকের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ হওয়া ভাড়াটে যোদ্ধাদের পরিবারের অভিযোগ, প্রিয়জনদের পরিণতি সম্পর্কে কোনো তথ্যই তাদের দেয়া হচ্ছে না।

এক নিখোঁজ সেনা সদস্যের আত্মীয় দিয়েগো ইসপিসিয়া বলেন, কেউ বলছে, সে মারা গেছে। আবার শুনছি, নিখোঁজ হয়েছে। অনেকে আবার বলছে, রুশ সেনাদের কাছে বন্দি হয়েছে। যেটাই হোক, দিনশেষে একটাই আশা, সে বেঁচে থাকুক। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তার তথ্য চেয়ে অসংখ্য মেইল পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।

২০২২ সালের প্রথম দিকে প্রকাশিত তথ্যে, ৫২ দেশের অন্তত ২০ হাজার বিদেশি যুদ্ধ করছে রাশিয়ার বিপক্ষে। বিদেশি সেনা সম্পর্কে এরপর আর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি দেশটি। এতোদিন রুশ ও ইংরেজি ভাষাভাষী বিদেশিরা ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করলেও লাতিন অঞ্চল থেকে যোদ্ধা ভাড়ার তথ্য আগে শোনা যায়নি।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply