ওয়ানডে ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার প্রথম ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তরুণ ব্যাটার পাতুম নিশাঙ্কা। পাল্লেকেলেতে সফরকারী আফগানিস্তানের বোলারদের তুলোধুনা করে মাত্র ১৩৬ বলেই পৌঁছে যান দ্বিশতকে। শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেছেন নিশাঙ্কা। এ জন্য মোকাবেলা করেছেন মাত্র ১৩৯ বল। তিনি ইনিংসটি খেলার পথে ২০টি চার ও ৮টি ছক্কা মেরেছেন। নিশাঙ্কার টর্নেডো ইনিংসে ভর করেছে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমেছে ৩৮১ রানে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে আগ্রাসী সূচনা করেন দুই লঙ্কান ওপেনার নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো। ২৬ দশমিক ২ ওভারের এই জুটিতেই আসে ১৮২ রান। দুই ব্যাটারই ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন। তবে ১২ রান দূরে থাকতে ফরিদ আহমদের বলে ইবরাহিম জাদরানের হাত ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফার্নান্দো। ফেরার আগে ৮ চার ও তিন ছয়ে ৮৮ বলে সমান রান করে ফেরেন এই ব্যাটার।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর কুশাল মেন্ডিসের সঙ্গে কিছুটা ধীরে রান তোলেন নিশাঙ্কা। ব্যক্তিগত ১৬ রানে মেন্ডিস ফেরায় ভাঙে ৪৩ রানের জুটি। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন নিশাঙ্কা। ৭১ বলের এই জুটিতে আসে ১২০ রান।
তবে ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতে ফরিদ আহমদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সামারাবিক্রমা। ততক্ষণে ৩৪৫ রানে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। আর ডাবল সেঞ্চুরি পেতে নিশাঙ্কার প্রয়োজন তখন মাত্র ১৫ রান। ৪৯ দশমিক ২ ওভারে ফরিদ আহমেদের বলে চার মেরে পৌঁছে যান দ্বিশতকে। পাশাপাশি লঙ্কান ক্রিকেটের ইতিহাসে জায়গা করে নেন এই ব্যাটার। তিনি প্রথম লঙ্কান হিসেবে ৫০ ওভারের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন।
এই ম্যাচে নিশাঙ্কা লঙ্কান কিংবদন্তি সনাৎ জয়সুরিয়ার ২৪ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙেছেন। শুধু রেকর্ড ভাঙেননি, জয়সুরিয়াকে ছাড়িয়ে গেছেন অনেক দূরে। লঙ্কানদের হয়ে এতদিন ওডিআইয়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ছিল জয়সুরিয়ার। ২০০০ সালে শারজাহ স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ১৮৯ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ৪৮ দশমিক ৫ ওভারের সময় গুলবাদিন নাইবের বলে দুই রান নিয়ে নিশাঙ্কা ১৯০ রানে পৌঁছালে স্টেডিয়ামে বসা জয়সুরিয়া করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
লঙ্কান ব্যাটারদের তাণ্ডবে এদিন দিশেহারা ছিল আফগান বোলিং লাইন। ইনিংসে সফরকারী দলের সবচেয়ে সফল বোলার ফরিদ আহমদ ২ উইকেট শিকার করেছেন। এ জন্য ৯ ওভারে খরচ করেচেন ৭৯ রান। তবে রান কম দেয়ার দিক দিয়ে সফল ছিলেন মোহাম্মদ নবী। এই স্পিনার ১০ ওভারে মাত্র ৪৪ রান খরচায় তুলে নেন মেন্ডিসের উইকেট। ফজলহক ফারুকি ৯ ওভারে ৭৭ রান, ওমরজাই ৬ ওভারে ৫৫, গুলবাদিন ৮ ওভারে ৬০ এবং নুর আহমদ ৮ ওভারে ৬২ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন।
/এনকে
Leave a reply