আবারও ধাক্কা খেলো ‘ইন্ডিয়া’, বাবা-ছেলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

|

ফারুক আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ (ছবি: সংগৃহীত)

কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে একক যোগ্যতায় অংশ নেবে তার দল জম্মু-কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএনসি)। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একথা বলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার সকালেই জেকেএনসি’র চেয়ারম্যান ও ফারুকপুত্র ওমর আব্দুল্লাহ জানান একেবারে উল্টো খবর। বাবার বক্তব্যকে কর্মীদের ইচ্ছার প্রতিফলন উল্লেখ করে জানান আপাতত ইন্ডিয়া জোটেই থাকবে তার দল।

পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের পর জাতীয় স্তরে জোট গঠনে এরকম বহু সমস্যায় পরেছে সোনিয়া গান্ধীর দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপি বিরোধী এই জোট জাতীয় পর্যায়ে সুবিধা করছে পারছে না কোনভাবেই।

ফারুক আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেছিলেন, আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আমি একটা কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, ন্যাশনাল কনফারেন্স তাদের নিজের শক্তিতে নির্বাচনে লড়বে। এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এ নিয়ে আর কোনও প্রশ্নও থাকা উচিত নয়। আমরা এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত মাসেই ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে ঐকমত্যের অভাব দেখা দেয়। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ফারুক। সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বলের সাথে কথা বলার সময় ফারুক বলেছিলেন, আমাদের যদি দেশকে বাঁচাতে হয়, তা হলে নিজেদের মধ্যে পার্থক্য ভুলে গিয়ে দেশ নিয়ে ভাবতে হবে। তবে কেন তার দল জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল, সে বিষয়ে ফারুক বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ওমর তার বক্তব্যে জানান, ইন্ডিয়া জোটে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আমরা গত কয়েক মাস ধরেই খুব পরিষ্কার অবস্থানে ছিলাম। যে আসনগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে ভাবা হয়েছিল সেগুলো বর্তমানে বিজেপির দখলে রয়েছে। আমরা আগের সেই অবস্থানে দৃঢ়।

এদিকে পাঞ্জাবে জোট গঠনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার দল পাঞ্জাবের সব আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানান তিনি। পশ্চিমবঙ্গেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি কংগ্রেস ২ টি আসন পাওয়ার যোগ্য কিনা পশ্চিমবঙ্গে, এরকম মন্তব্য করলে জোট গঠনে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মমতার সেই বক্তব্যকে পুঁজি করে নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসকে আক্রমন করেন পার্লামেন্টে।

উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটের সাথে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। এগুলোর মধ্যে জেডিইউ, আরএলডি অন্যতম। সম্প্রতি বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে এমন কিছু দল যোগদান করেছে যারা কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধে লোকসভা নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলো।

এমএইচআর/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply