রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক বোমারু উড়োযান তৈরি। বিমানটি দেখতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সুপারসনিক উড়োযানের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে দেখা গেলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে। পারমানবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ- ওয়ান সিক্স জিরো-এম। সোভিয়েত যুগের উড়োযানে সংস্কারের মাধ্যমে আনা হয়েছে আমূল পরিবর্তন। যার সাংকেতিক নাম ‘ব্ল্যাক জ্যাকস’ দিয়েছে ন্যাটো। এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘টুপোলভ- ওয়ান সিক্স জিরো- এম’ নামের বিমানটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। সোভিয়েত যুগের একটি বোমারু বিমানের আধুনিক সংস্করণ এই সুপারসনিক। ধারণা করা হয়, সেসময় দূরবর্তী স্থানে অস্ত্র সরবরাহে এটি ব্যবহৃত হতো। নির্মাতারদের দাবি, নতুন সংস্করণটি অতীতের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি কার্যক্ষম।
বিশালাকার উড়োযানটি কাজান শহরের কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে উড্ডয়নের পর; পুতিনকে নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট আকাশে ছিলো। সুপারসনিক বিমান তৈরির সুখ্যাতি রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সত্যিই বিমানটিতে নতুন বহু যন্ত্রপাতি যোগ করা হয়েছে। এই বিমান পরিচালনা করাও খুব সহজ। বিষয়গুলো খালি চোখে বোঝা সম্ভব নয়।
বিমানটি পরিচালনায় প্রয়োজন চারজন ক্রু। একসাথে বহন করতে পারে ১২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ৭১ বছর বয়সী পুতিন এর আগে, ২০০৫ সালে, টুপলোভের পুরানো একটি সংস্করণের পরীক্ষায় অংশ নেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ হবে ইউক্রেন যুদ্ধের ২ বছর। সম্প্রতি, মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংসে বিশেষ অস্ত্র তৈরীর অভিযোগ উঠেছে মস্কোর বিরুদ্ধে। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমাদের পাল্টা জবাব দিতেই এবার পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বিমানে সবার সামনে নিয়ে আসলেন, পুতিন।
\এআই/
Leave a reply