গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন অভিযান চালায় হামাস। ১২শ’ মৃত্যুর পাশাপাশি আড়াইশর বেশি মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয় জিম্মি করে। ঝটিকা ওই অভিযানের সময় নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা চালিয়েছে হামাস সদস্যরা, এমন অভিযোগ করেছিলো তেল আবিব।
জাতিসংঘেও তোলা হয়েছে এমন অভিযোগ। সংস্থাটির সংঘাতপূর্ণ স্থানে যৌন সহিংসতা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির দাবি, বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ যাচাইয়ের পর তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, অন্তত তিনটি স্থানে ঘটেছে যৌন নিপীড়নের ঘটনা।
ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সাথে ৩৩টি বৈঠক হয়েছে তার বিশেষজ্ঞ টিমের। ৫ হাজারের বেশি ফটোগ্রাফ ও ৫০ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন তারা। যদিও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন কারও সাথেই কথা বলেননি তারা।
প্রমিলা প্যাটেন বলেন, যৌন সহিংসতার বিষয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ বেশ কিছু ব্যাপার খুঁজে পেয়েছি। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, নৃশংসতা চালানো হয়েছে নারীদের ওপর। অন্তত তিনটি স্থানকে শনাক্ত করেছি। নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালের ভেন্যু, রোড টু থার্টি টু ও কিবুৎজ। বেশিরভাগ কেসে ধর্ষণের পর খুন করে ফেলা হয়। আমার সাথে বিশেষজ্ঞদের একটি দল ছিল। যাদের মধ্যে ফরেনসিক ও ডিজিটাল তথ্য বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরদার হয়েছে ইন্টারসেপ্ট নিউজ অর্গানাইজেশনের এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর। গত ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টের তথ্যের অসঙ্গতি তুলে ধরেছে তারা। মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে হামাসের যৌন সহিংসতার শিকার তিন ভুক্তভোগীর কথা তুলে ধরা হয়।
এবার ইন্টারসেপ্টের অনুসন্ধানে দেখা গেলো, কিবুৎজ বেইরির ১৩ ও ১৬ বছর বয়সী যে দুই কিশোরীর উল্লেখ করা হয়, তারা আদৌ যৌন হয়রানির শিকার হয়নি। বরং গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তৃতীয় নারী গাল আবদুশ-এর পরিবারও অস্বীকার করেছে যৌন হয়রানির খবরের।
/এএম
Leave a reply