বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযানে গ্রেফতারকৃত রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে, শ্রমিকদের গ্রেফতার করা কেনো অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যাসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্ম সংস্থান সচিব, আইন সচিব ও আইজিপিকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের গ্রেফতারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে রিট করেন ব্যারিস্টার মাসুদ রেজা সোবহান। শুনানি শেষে, গ্রেফতারকৃত ৮ শতাধিক রেস্তোরাঁ শ্রমিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে রুলও জারি করা হয়। রিটকারী আইনজীবী বলেন, বেইলি রোড ট্র্যাজেডির পর হোটেল-রেস্তোরাঁর অভিযান এক ধরণের আইওয়াশ।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেফতারের পাশাপাশি হচ্ছে মামলাও।
অন্যদিকে, অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক)। কয়েকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালার পাশাপাশি জরিমানাও করা হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরকারি সংস্থাগুলোর চালানো এসব অভিযানের সমালোচনা করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একে ‘হয়রানিমূলক’ দাবি করেছে।
/এমএইচ
Leave a reply