এই দশকের সবচেয়ে আলোচিত অস্ত্র ড্রোন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, সব সংঘাতেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এই সমরাস্ত্র। শুধু হামলাই নয়, নজরদারিসহ আরও নানা কাজেই ড্রোনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
চলতি বছর প্যারিসে বসছে সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ ‘অলিম্পিক’। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শতশত অ্যাথলেট জড়ো হবেন শহরটিতে। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের তোড়জোড়। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী হামলাসহ আলোচিত অস্ত্র ড্রোনের যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় গঠন করা হয়েছে অ্যান্টি ড্রোন ইউনিট।
অ্যান্টি ড্রোন ইউনিটের কর্মকর্তা আর্নড বর্গিনিও বলেন, ড্রোন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবার বিক্ষোভকারীরাও নিজদের মতবাদ ড্রোনের সাহায্যে ব্যানারে প্রকাশ করতে পারে। যা অলিম্পিকের মতো ইভেন্ট চলাকালে কাম্য নয়। এমনকি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেও এটি ব্যবহার করা যায়। এসব হুমকি মোকাবেলার জন্যই এই ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
প্যারিসের পাশে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ এই বাহিনীর ঘাঁটিও। যাতে একসাথে কাজ করবে পুলিশ ও সেনা সদস্য। মোট ১৫টি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে রয়েছে রাডার, ক্যামেরা জ্যামিং অ্যান্টেনা। রয়েছে অ্যান্টি ড্রোন রাইফেল, যা দিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকা ড্রোনও নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব। রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে ড্রোন শনাক্ত করে তা ভূপাতিত করে এই অস্ত্র।
অ্যান্টি ড্রোন পুলিশ নিকোলাস বলেন, আমাদের পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আমরা এখন কাজের জন্য প্রস্তুত। ড্রোন শনাক্ত করার পর এটি কী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি চিহ্নিত করবো আমরা। পরে নির্দেশনা অনুযায়ী এটি নিষ্ক্রিয় করবো। আমরা অলিম্পিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত।
এমন বাহিনী ফ্রান্সে এটিই প্রথম। এখন পর্যন্ত দেশটি ড্রোন হামলার শিকার হয়নি। যদিও বেশকয়েকবারই বিনোদন কেন্দ্র, ক্যাফেতে আত্মঘাতী ও বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জুলাই শুরু হবে অলিম্পিক, যার পর্দা নামবে ১১ আগস্ট।
/এএম
Leave a reply