আইএসের উত্থান নিয়ে নতুন শঙ্কা

|

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট, ইসলামিক স্টেট বা আইএস নির্মূলের পাঁচবছর পূর্তি উদযাপন করেছে গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। পরদিনই মস্কোর ক্রোকাস কনসার্ট হল কেঁপে উঠে নারকীয় হামলায়। যার দায় স্বীকার করেছে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরই আঞ্চলিক সহযোগী আইএস-খোরাসানর

পাঁচ বছর ধরেই যেই গোষ্ঠীকে নির্মূলের দাবি করে আসছে মার্কিনিরা, তাদের আঞ্চলিক শাখার এমন ভয়াবহ হামলার পর প্রশ্ন উঠেছে আবার কিভাবে এতটা সংগঠিত হলো সন্ত্রাসীরা?

কয়েক বছর ধরেই, আফগানিস্তানে শক্তির জানান দিয়ে আসছে আইএস-কে। প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বেড়েছে তাদের সক্ষমতা। তালেবানের বিমান বাহিনী না থাকার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে শক্ত করেছে ঘাঁটি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগান ছাড়ার সময় সংগ্রহ করেছে অনেক আধুনিক মার্কিন অস্ত্র।

আইএস-কের গত কয়েক বছরের সব হামলাই ছিলো আফগানিস্তান কেন্দ্রিক। গত জুনে, প্রতিবেশি পাকিস্তানেও হামলার দায় স্বীকার করে গোষ্ঠীটি। এরপর ইরান হয়ে লক্ষ্য বানালো ইউরোপের দেশ রাশিয়াকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাসীকে নিজেদের পুনরুত্থানের জানান দিতেই এমন সহিংস হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড্যান বেমান বলেন, উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এই গোষ্ঠী এখন আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। আফগানিস্তানের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন জায়গায়ও হামলা চালাতে শুরু করেছে। আফগানিস্তানের বাইরে পাকিস্তানেও তারা হামলা চালিয়েছে। হামলা হয়েছে ইরানেও। তবে, এসব দেশ তাদের নিকতবর্তী। এখন ইউরোপের দেশ রাশিয়াতেও হামলা চালালো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে ইরাক-সিরিয়ায় অবস্থিত আইএসের মূল শাখাও। ইরাক থেকে দাবি উঠছে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের; ঠিক তখনই গোষ্ঠীটির এমন উত্থান জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্নের। মার্কিন প্রশাসনও মনে করছে, সামনে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে আইএস।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা মাইকেল কুরিলা বলেন, এই বছরের শুরু থেকেই আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। আফগানিস্তান থেকে এই গোষ্ঠীর হামলার ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। আইএস-খোরাসান তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। আগামী ছয়মাস যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিদেশিদের ওপর আরও হামলার চেষ্টা করবে তারা।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব পরাশক্তিদের জন্য আইএস মোকাবেলা করা বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply