শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ পূর্নাঙ্গ সিরিজটি ছিলো গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচক প্যানেলের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। যদিও ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি মূল স্কোয়াড দিয়েছিল মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর আগের প্যানেল। তবে টেস্ট স্কোয়াড ছিলো নতুন প্যানেলের। আর সেই টেস্টেই ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশ দলের। স্বভাবতই খুব হতাশ প্রধান নির্বাচক। সেই সাথে অফ ফর্মে থাকা লিটনকে দলের নেয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক বলেন, টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটে দলের পারফর্ম্যান্স নিয়ে আমরা হতাশ। আমাদের আশা ছিল যে, দল আরও ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ফলাফল যে আমাদের পক্ষে আসতে হবে এমন কোনো কথা ছিল না। আগেই বলেছি যে, যথেষ্ট স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চেষ্টা করেছি। কারণ আমাদের দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশে গিয়েও খেলতে হবে। সেটার জন্য নিজেদের সক্ষমতা, দূর্বলতা বিচার করার জন্য বিসিবি এই ধরণের ভেন্যু, উইকেটের ব্যবস্থা করেছে। এতে হয়তো আমরা কিছুটা আশাহত কিন্তু আমাদের দূর্বলতার জায়গাগুলো ফুটে উঠেছে।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যর্থতার অনেকটা কারণ একটি দুর্বল ঘরোয়া কাঠামো। এমনটা বলছেন খোদ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত, মুমিনুল হকরা। বৃহস্পতিবার কিছু গনমাধ্যমে খবর আসে জাতীয় লিগের দুই স্তরের কাঠামো পরিবর্তন করে ৭ দল নিয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচকরা। সেই সাথে নাকি বিসিএলের স্লটে আরও একটি টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চান তারা। কিন্তু গাজী আশরাফ বলছেন এমন কিছু তার জানা নেই।
প্রধান নির্বাচক বলেন, যে কোনো জায়গাতেই টেস্ট সিরিজ হোক যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নেয়াটা আসল। কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকলে অন্তত অভ্যস্ততা বাড়বে। যেভাবে আমরা একই ভাবে আউট হচ্ছি বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে তাতে ইনিংস লম্বা হচ্ছে না। একটা বিষয় হলো— আইপিএলে যেভাবে ২০ ওভারে দানবীয় রান হচ্ছে তা মানে লম্বা ফরম্যাটের ক্রিকেটে তো আমাদের আরও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। এই জন্যই বলছি— আমাদের একটি সমন্বিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এতে ঘরোয়া ক্যালেন্ডারটা আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে সাজাতে পারবো।
টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও সেই ভাবনা দূরে ঠেলে আপাতত টি টোয়েন্টি নিয়ে মনোনিবেশ করতে হবে। কারণ মাত্র ২ মাস পরই টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপ। তার আগে অবশ্য ৩ মে থেকে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৫ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ। বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের জন্য এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রস্তুতি। প্রথমে হবে স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং ক্যাম্প।
অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার মতো এবার বিশ্বকাপের দলে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করতে চান না নির্বাচকরা। জিম্বাবুয়ে সিরিজেই দলই হবে মূলত বিশ্বকাপ দল বলছেন গাজী আশরাফ লিপু। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করতে ২২ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকায় ফেরার কথা বিদেশি কোচিং স্টাফদের।
/আরআইএম
Leave a reply