শবে কদরের আলামত নিয়ে যা বলে গেছেন মহানবী

|

লাইলাতুল কদরে আল্লাহ বান্দার নেক দোয়া কবুল করেন। এ রাতে আল্লাহ অধিক সংখ্যক রহমতের ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যা সকাল না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে এক অনন্য শান্তি বিরাজ করে। তাই মুসলমানের কাছে লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব অপরিসীম।

মহান এ রাত সম্পর্কে আল্লাহপাক তার পবিত্র গ্রন্থ, আল কোরআনে বলেন, ‘এবং তোমাকে কীসে অবহিত করবে যে, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। ওই রাতে ফেরেশতাগণ এবং কামেল রূহ সকল তাদের প্রতিপালকের হুকুম অনুযায়ী যাবতীয় বিষয়সহ নাযেল হয়’ (সুরা কাদর)।

এ রাত কখন আসে, কীভাবে আসে এবং কেমন আরাধ্য আত্মার কাছে মহিমান্বিত এ রজনী ধরা দেয়, সে বিষয়ে আমাদের অবগত হতে হবে।

লাইলাতুল কদর লাভ করার সর্বোত্তম উপায় হলো শেষ দশকে ইতেকাফ করা। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত।

তিনি বলেন, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের শেষ ১০দিন ইতেকাফ করবে সে দুটি ওমরা ও দুটি কবুল হজ আদায় করার সাওয়াব পাবে। তাই যারা ইতেকাফ করবে লাইলাতুল কদর পাওয়ার পাশাপাশি অধিক সাওয়াবও লাভ করবে।

হাদিসে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতটি লাইলাতুল কদরের রাত হবে, তা চেনার কিছু আলামত বলেছেন।

তা হলো, ১. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। ২. রাতটি নাতিশীতোষ্ণ হবে। ৩. মৃদ বাতাস প্রবাহিত থাকবে। ৪. সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত তৃপ্তিবোধ করবে। ৫.কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়ে দিতে পারেন। ৬. ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হবে। ৭. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে, যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো। (সহীহ ইবনু খুযাইমাহ: ২১৯০; বুখারী: ২০২১; মুসলিম: ৭৬২)

উম্মুল মুমিনীর হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্নিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দোয়াটি পাঠ করব। তিনি বললেন, তুমি বল, আল্লাহুমা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফ্ওয়া ফা’ফু আন্নী।

এর অর্থ হচ্ছে – হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দেন (তিরমিযী)।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply