বিমানযাত্রায় ইরানের নিরাপত্তা রেকর্ড খারাপ কেন?

|

সাড়ে ১৬ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিশাল দেশ ইরানে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম আকাশপথ। কিন্তু দেশটির বিমানযাত্রায় নিরাপত্তার রেকর্ড খুবই খারাপ। এমনকি কয়েক বছর ধরেই আকাশপথে দুর্ঘটনায় পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ দেশ ইরান। অ্যাভিয়েশন খাতে দুর্বল ব্যবস্থাপনার বহু রেকর্ড রয়েছে দেশটির। আছে বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ইতিহাস।

এজন্য পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাকে সরাসরি দায়ী করা হয়। ইরানের বিমান বহরের বেশিরভাগই ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের আগে কেনা। ওই বিপ্লবের পর পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় এই খাতে আধুনিকায়ন হয়নি তেমন।

কেবল নতুন আকাশযান কেনায় বাধা নয়, নিষেধাজ্ঞার কারণে সংস্কার বা মেরামতও করা যাচ্ছে না হেলিকপ্টার কিংবা বিমানের বহর। হালনাগাদ করা যাচ্ছে না সফটওয়্যার। নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বা চীন-রাশিয়া থেকে কেনা যন্ত্রাংশ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে পরিচালনা করা হয় বিমান বা হেলিকপ্টারগুলো। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার বেল-ও ১৯৭৯ সালের আগে কেনা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বেসামরিক যানের পাশাপাশি ইরানের সামরিক বহরেও বেশিরভাগ বিমান ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের আগে কেনা।

যান্ত্রিকভাবে দুর্বল ও পুরনো প্রযুক্তির কারণে গত তিন দশকে ভয়াবহ অনেকগুলো বিমান দুর্ঘটনা দেখেছে ইরান। প্রাণ গেছে বিপুলসংখ্যক আরোহীর। বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণহানির শিকার হয়েছেন অনেক সামরিক কমান্ডার ও পাইলট। তালিকায় আছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রীসহ বহু প্রশাসনিক কর্মকর্তাও।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply