পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেছেন। এরপর বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘লোৎসে’ জয় করেছেন। ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘুরেছেন। অনেক তো হলো! এবার বাড়ি ফেরার পালা। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে বাড়ি ফিরছেন এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ী বাবর আলী।
বাংলাদেশ বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় মঙ্গলবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে তার। ঢাকায় নেমে বিমানে করে যাবেন নিজ শহর চট্টগ্রামে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে লোৎসে পৌঁছান তিনি। এর আগে ১৯ মে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন তিনি। এদিন বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন বাবর।
উল্লেখ্য, এমবিবিএস পাস করা বাবর পেশা হিসেবে ডাক্তারিতে থিতু হননি। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন তিনি। সাইক্লিংয়েও রয়েছে তার আলাদা আগ্রহ।
বাংলাদেশের এভারেস্ট অভিযান
দুনিয়ার সর্বোচ্চ চূড়ায় ওঠার প্রথম সফল অভিযান হয় ১৯৫৩ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের কেউ এখানে আরোহণ করার ইতিহাস গড়ে ২০১০ সালে। সে বছর ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টের চূড়া জয় করেন।
এরপর ২০১১ সালের ২১ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট শীর্ষে ওঠেন মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। পরের বছর প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার।
এর মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ওয়াসফিয়া নাজরীন দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আবদুল মুহিত (নিজের দ্বিতীয়বার)।
পরের বছর ২০১৩ সালে খালেদ হোসেন নামে আরেক বাংলাদেশি এভারেস্ট জয় করলেও ফেরার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এই তালিকায় এগারো বছর পর নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন বাবর আলী। তার সামিটের অর্থের বড় একটি অংশ এসেছে ‘ক্রাউন্ডফান্ডিং’-এর মাধ্যমে।
/এএম
Leave a reply