হামলা-পাল্টা হামলায় রীতিমতো রণক্ষেত্র লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত। সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যার জবাবে গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির রকেট-ড্রোনের আঘাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। যা নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসও। পাল্টা জবাবে লেবাননের একের পর এক গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তেলআবিব।
কদিন ধরেই হিজবুল্লাহ’র হামলায় কেঁপে উঠছে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ড্রোন-রকেট আঘাত হানছে বেসামরিক ঘরবাড়িতে। উত্তপ্ত গোলান মালভূমিও।
হিজবুল্লাহর হামলায় আগুন জ্বলছে ইসরায়েলের কমপক্ষে ১৫টি স্থানে। বুধবার দুই শতাধিক রকেট-ড্রোন ছোড়ার পর বৃহস্পতিবারও গোষ্ঠীটি অব্যাহত রাখে হামলা। তাদের দাবি, ইসরায়েলি ভুখণ্ডে একদিনেই ছোড়া হয়েছে শতাধিক রকেট ও ৩০টি ড্রোন। যার অনেকগুলো অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা- আয়রন ডোম ভেদ করে আঘাত হেনেছে লক্ষ্যবস্তুতে।
হিজবুল্লাহ জানায়, ৬ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে কাতুশা ও ফালাক ড্রোন। আরও তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে লাদেন ড্রোন দিয়ে। মূলত শীর্ষ কমান্ডার তালেব সামি আব্দাল্লাহকে হত্যার জবাবেই ইসরায়েলে ভূখণ্ডে বাড়ানো হয়েছে হামলার মাত্রা।
ছাড় দিচ্ছে না ইসরায়েলও। সীমান্তবর্তী লেবাননের একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে দেশটি। বিমান হামলা চালিয়ে, গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাড়িঘর। দিয়েছে আরও আগ্রাসী জবাবের হুঁশিয়ারিও।
এ ব্যাপারে ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার বলেন, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো আমরা। হিজবুল্লাহর সব আগ্রাসনের শক্ত জবাব দেয়া হবে। ইরানের নির্দেশনায়, লেবানন এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। আমাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির সম্পূর্ণ দায় তাদের নিতে হবে।
গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে। দু’পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক মানুষের প্রাণ গেছে।
এটিএম/
Leave a reply