‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা চিরস্থায়ী করলে স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যকে ধ্বংস করা হয়’

|

মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা চিরস্থায়ী করলে চেতনার নামে স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যকে ধ্বংস করা হয়। দেশ গঠনে মেধাভিত্তিক নিয়োগ জরুরি— এমন মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বুধবার (৩ জুলাই) তিনি এ মন্তব্য করেন। তার মতে, সব বীর মুক্তিযোদ্ধা অনগ্রসর নন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আগে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। ৪৪ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে হতো। ২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সব কোটা বাতিল করা হয়। আদালতের একটি রায়ের ফলে শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নেমেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দাবি ছিল ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা।

মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা দাম দেবো— এমনটা উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, কিন্তু তাদের বংশপরম্পরায় নাতি–নাতনিসহ তাদের সবাইকে দিতে হবে, বিষয়টি সম্পর্কে ছাত্রদের মধ্যে দ্বিমত আছে। তারা এর সাথে একমত হতে পারছেন না। সংবিধানে সুযোগ–সুবিধার ক্ষেত্রে সাম্যের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানে বলা আছে, নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা থাকবে।

বিরোদী দলীয় এ নেতা বলেন, সংবিধানে সরকারকে একটি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সরকার নাগরিকদের অনগ্রর অংশের প্রজাতন্ত্রের কাজে নিযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান করতে পারবে। অনগ্রসর অংশ হলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ইত্যাদি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজন্ম যারা থাকবেন, তারা সবাই অনগ্রসর, এটা আমি মানতে রাজি না।

বিভিন্ন কোটায় প্রার্থী না থাকলে সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা দেয়া যেতে পারে বলেও মত দিয়েছেন জি এম কাদের। সরকার প্রবর্তিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে মানুষের ‘আস্থাহীনতা’ আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply