কানাডা কোচ বললেন, আর্জেন্টিনাকে হারাতে হলে জীবনের সেরা ম্যাচ খেলতে হবে

|

ছবি: সংগৃহীত

চলতি কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছিলো কানাডা। লড়াই করেও পরে হারতে হয়েছিলো তাদের। ফের দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের সেমিফাইনালের মঞ্চে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি কানাডা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে কানাডা কোচ জেসি মার্শ অবশ্য বাস্তবতার শক্ত জমিনে পা রেখে বললেন, আর্জেন্টিনাকে হারাতে হলে জীবনের সেরা ম্যাচ খেলতে হবে।

বুধবার (৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। সাম্প্রতিক ফল শুধু নয়, যেকোনো বিচারেই কানাডা থেকে যোজন যোজন এগিয়ে মেসির দল। এমন দলের বিপক্ষে সেমির মতোন মঞ্চে খেলাটাই কানাডার জন্য বড় অভিজ্ঞতা। তবে লিডস ইউনাইটেড ও আরবি লাইপজিগের সাবেক কোচ মার্শ প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবতে চান না এভাবে।

মার্শ বলেন, বিশ্বের সেরা দল আর্জেন্টিনা এবং আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন তারা কতটা আক্রমণাত্মক ও নিখুঁত, মেসি কতটা ভালো। এর আগে যখন তাদের বিপক্ষে খেলেছি, কিছু জায়গায় আমরা ভালো করেছি। আমার মতে, তাদের খেলার মান ও স্তর সম্পর্কে জানা থাকাটা আমাদের জন্য একটি সুবিধা।

এর আগের লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় কয়েকটা জায়গায় ভুল দেখছেন মার্শ। সেসব ঠিক করে নক আউট ম্যাচে ভিন্ন কিছু করার বিশ্বাস তার মনে। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা আরো শানিত ও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। কেবল বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য নয়, আমার মন পুরোপুরি মুখিয়ে আছে বিশেষ জয়ের দিকে।

আর্জেন্টিনাকে থামাতে বোতলবন্দি করতে হবে তাদের সেরা তারকা মেসিকে। মেসির বিপক্ষের আগের ম্যাচে যেসব ভুল করেছে সেসব শোধরে নিয়ে নামবে কানাডা। মার্শ জানালেন মেসিকে দমিয়ে রাখার নির্দিষ্ট ছক কষে রেখেছেন তারা। কানাডার কোচ বলেন, আমরা গত ম্যাচে মেসির বিপক্ষে পর্যাপ্ত ভালো খেলিনি। সে গোলকিপারের কাছে উন্মুক্তভাবে অনেক যেতে পেরেছে। আমরা তাকে পাহারা দিতে পারিনি। আমরা কীভাবে রক্ষণ সামলাবো সেখানে তাকে প্রাধান্য দিব।

তিনি আরও যোগ করেন, আমরা নির্দিষ্ট কিছু জিনিস করে তার কাজটা কঠিন করে দেব। তাকে কম জায়গা দেওয়া তারর মধ্যে একটা।তাকে আমরা আমাদের সীমানায় উন্মুক্তভাবে ছুটতে দিতে চাই না। আমরা সবাই জানি এই খেলাটার সেরা শ্রেষ্ঠতম।

মার্শ অবশ্য এই ম্যাচকে দারুণ একটা সুযোগ হিসেবেও দেখছেন। আর সেটা লুফে নিতে দিচ্ছেন ‘ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক’ খেলার বার্তা। মানেটাও পরিষ্কার, ঐতিহ্যে, পরিসংখ্যানে, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পাল্লায় যতই পিছিয়ে থাক কানাডা, মাঠের লড়াই শুরু আগেই ‘যুদ্ধের দামামা’ ঠিকই বাজিয়ে দিয়েছে তারা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply