ইউরো মেগা ফাইনাল: ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারেন যারা

|

আজ রাতে পর্দা নামছে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মেগা আসরের। রোববার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় মাঠে গড়াবে এবারের আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। ২৪ দলের এই টুর্নামেন্টের শেষ মঞ্চ প্রস্তুত বার্লিনে। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর জার্মানির এই মাঠ আন্তর্জাতিক ফুটবলের বড় কোন ইভেন্টের ফাইনাল আয়োজন করতে যাচ্ছে। শেষবার বিশ্বকাপ ফাইনালের লড়াইয়ে নেমেছিল ইউরোপের দুই দেশ ইতালি ও ফ্রান্স। এবার ইউরোতে মুখোমুখি স্পেন-ইংল্যান্ড। বড় বড় তারকার ভিড়ে লাইমলাইটে তরুণ তুর্কীরা। দুদলেই রয়েছে প্রতিভাবান এমন কিছু খেলোয়াড় যারা খেলার মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে অনায়সে।

আলোচনায় প্রথমেই আসে স্পেনের লামিনে ইয়ামাল। স্প্যানিশ কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের সবচেয়ে বড় অস্ত্র এই ১৬ বছর বয়সী বিস্ময়বালক। এবারের ইউরোতে ইয়ামাল চমক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা ফুটবল দুনিয়াকে। তার গতি ও বল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতায় অবাক হয়েছে ফুটবলভক্তরা। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হতে পারে স্প্যানিশদের রণকৌশল। ফুয়েন্তের মূল ট্রাম্পকার্ড ইয়ামালই। এখন পর্যন্ত আসরে তিন গোল করেছেন তিনি। ইয়ামালের সাথে দানি কার্ভাহাল আর আলভারো মোরাতার মতো অভিজ্ঞরা তো রয়েছেই স্প্যানিশ শিবিরে। তারা চাইবে জার্মানিকে টপকে এককভাবে ইউরোর সর্বোচ্চ শিরোপার মালিক হতে।

অপরদিকে থ্রি লায়ন্সদের ডেরায় রয়েছে একাধিক ফুটবলার। সবার আগে আসে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইনের নাম। এই ফরোয়ার্ড প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়িয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। বার্লিনের ফাইনালে তাকে আটকাতে বেশ হিমশিম খেতে হবে স্প্যানিশ রক্ষণভাগকে। তবে কেইনের চেয়েও বেগ বোধহয় পোহাতে হবে জুড বেলিংহামকে নিয়ে। স্পেনের যদি ইয়ামাল থাকে তাহলে ইংলিশদের আছে বেলিংহাম। অল্প সময়েই বেলিংহাম হয়ে উঠেছেন বিগ ম্যাচ প্লেয়ার। ক্লাবে গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফাইনালে ঘটতে পারে অনেক কিছুই। দু’দলই শিরোপা জিততে মরিয়া হয়ে আছে। জার্মানদের সাথে যৌথভাবে শিরোপার ভাগিদার না থেকে এককভাবে শীর্ষস্থানে যেতে চাইবে স্প্যানিশরা। ইংল্যান্ডও চাইবে বহু আরাধ্য ইউরো ট্রফি জিততে। প্রস্তুত বার্লিন, প্রস্তুত ফুটবলভক্তরা।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply