অভিবাসন নীতিতেও কমেনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রাণহানির সংখ্যা

|

ট্রাম্পের তুলনায় বাইডেনের কিছুটা শিথিল অভিবাসন নীতিতেও কমেনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রাণহানির সংখ্যা। সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকার মর্গে বেড়ে চলেছে অবৈধ অভিবাসীদের মরদেহ ও দেহাবশেষের পরিমাণ। পরিবারের খোঁজ না পাওয়ায় অজ্ঞাতনামা বেওয়ারিশ লাশ হিসেবেই মৃতদেহগুলোর ঠাই হয়েছে মর্গে।

অ্যারিজোনা প্রদেশের পিমা কাউন্টির মর্গে, বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা কয়েকশ’। এরমধ্যে কোনোটির বয়স, কয়েক বছরের বেশি। মর্গে রাখা এসব মরদেহ অবৈধ অভিবাসীর। বর্তমানে এই মর্গে সংরক্ষিত রয়েছে ৬ শতাধিক মরদেহ ও দেহাবশেষ। এছাড়া গত দুই মাসে যুক্ত হয়েছে আরও ১০৫টি দেহ।

পিমা কাউন্টি মর্গের প্রধান স্বাস্থ্য পরিক্ষক গ্রেগরি হেস বলেন, গত বছর আমরা অন্তত ১৯০টি দেহাবশেষ উদ্ধার করেছি। সাধারণত গরমকালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ বছরেও পরিস্থিতি আগের মতো। এ পর্যন্ত ১০৫টি দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের বেশিরভাগই জুন-জুলাই মাসে শণাক্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশে ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক হলো যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো রুট। অবৈধভাবে মার্কিন মুল্লুকে পৌঁছানোর চেষ্টায়, সবচেয়ে বেশি মানুষ, করুণ পরিনতির শিকার হয়েছেন এই সীমান্ত পথে। বৈরি আবহাওয়া, খাবার ও পানির অভাবে মারা গেছে হাজারো অবৈধ অভিবাসী। তাদের মরদেহগুলো সংরক্ষণে রাখা হয় সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন মর্গে।

গ্রেগরি হেস বলেন, এখানে আমরা সাধারণত দেহাবশেষ সংরক্ষণ করে থাকি। এই ট্রেলারে ঠাই পাওয়ার মানে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি তাদের পরিচয় শনাক্তের। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হিমাগারে সংরক্ষিত আছে তুলনামূলক নতুন শণাক্ত হওয়া লাশ। দেহাবশেষ ও লাশের পরিচয় বলতে শুধু এতটুকু জানি তাদের সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং সকলেই বিদেশী নাগরিক।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে, অভিবাসন নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে আলাপ-আলোচনা। উত্তাপের আঁচ লাগতে শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোতেও।অভিবাসন প্রত্যাশীদের শঙ্কা, ট্রাম্প আবারও ক্ষমতায় এলে, কঠোর হবে অভিবাসন নীতি। স্থানীয়রা জানায়, জো বাইডেন বর্ডার পুরোপুরি বন্ধ করেননি। তবে ট্রাম্প আলাদা। সে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অভিবাসী চায় না।

তবে, অভিবাসননীতির কোনো পরিবর্তনই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর হার কমায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply