দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে অত্যাধুনিকভাবে এগিয়ে নেয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানের চারটি ‘এনটিটি’র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে “বৈষম্যমূলক” বলে নিন্দা করেছে দেশটি। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে সতর্ক করেছে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘আমাদের অঞ্চল এবং এর বাইরে কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক প্রভাব ফেলবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মার্কিন অভিযোগের ওপরও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। কারণ-পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো কোনও প্রমাণ ছাড়াই নিছক সন্দেহ এবং সন্দেহের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে। এবারের নিষেধাজ্ঞাও অনেকটা একই রকম।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘দ্বৈত মান’ বজায় রাখছে। কারণ- অন্যান্য দেশের জন্য উন্নত সামরিক প্রযুক্তির লাইসেন্স দিতে দেশটি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছে না। কারণ আমেরিকানদের সেসব দেশের সাথে ব্যবসা রয়েছে। তাহলে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নই আসেনা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছিলেন যে পাকিস্তান দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা তৈরি করছে যা যেকোন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার, ‘পাকিস্তান ক্রমবর্ধমান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নত করেছে। দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা থেকে শুরু করে এমন সরঞ্জাম যা উল্লেখযোগ্যভাবে বড় রকেট পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে। যদি এই প্রবণতাগুলি অব্যাহত থাকে,পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রাখবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে একটি ঘোষিত পারমাণবিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিল পাকিস্তান। সেই সময়ে দেশটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রতিবেশী ভারতের দ্বারা পরিচালিত আন্ডারগ্রাউন্ড পারমাণবিক পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করেছিলো। উভয় পক্ষ নিয়মিত তাদের স্বল্প, মাঝারি এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।
/এআই
Leave a reply