নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল দাসকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে, সেগুনবাগিচায় ক্র্যাবের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বজনরা জানান, গত ১০ অক্টোবর অফিস থেকে বের হবার পর উৎপলের আর খোঁজ মিলছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে এ নিয়ে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায়, সন্তানকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানান বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাস।
সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে পিতা চিত্তরঞ্জন জানান, আমার সাধারণ পরিবার। কষ্ট করে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করেছি। একটাই চাওয়া আমার ছেলেটা যাতে তার মায়ের কোলে ফিরে আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উৎপল দাসের পিতা চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, গত ১০ অক্টোবর ২ টার দিকে উৎপলের সঙ্গে তার মার কথা হয়। মাকে সে বলে মা আমি একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। এরপর সন্ধ্যার দিকে ওর মা আবার ওকে কল দেয়, মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওর মা ভাবলো হয়তো কোনো কাজে ব্যস্ত আছে। পরেরদিন আবার ফোন দিলে তখনও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে টানা এক সপ্তাহ চেষ্টা করেও তার মোবাইল খোলা পাওয়া যায়নি।
১৯ অক্টোবর উৎপলের দুই বন্ধুর কাছ থেকে তার নিখোঁজ হবার খবর জানতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন আমার প্রেসার বেড়ে যায়, আমি অচেতন হয়ে পড়ি। আমাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। একটু সুস্থ হওয়ার পর ২৩ অক্টোবর ঢাকায় এসে আমি মতিঝিল থানায় জিডি করে নরসিংদী ফিরে আসি।
চিত্তরঞ্জন দাস জানান, দুটি নম্বর থেকে এক লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তবে টাকা দেয়ার আগে সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সংযোগ কেটে দিয়ে আর যোগাযোগ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপলের বোন বিনীতা দাস কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, আমার মা উৎপলের খবর শোনার পর থেকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই আমার ভাইটা যাতে সুস্থভাবে মায়ের কাছে ফিরে আসে।
পূর্বপশ্চিমের প্রধান সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা এবং উৎপলের স্বজনরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply