ফেসবুকে ‘ঢাকাইয়্যা গলিবয়’ শীর্ষক একটি র্যাপ গান ভাইরাল হয়েছে। গায়ক পথশিশু রানা। বৃহস্পতিবার রাতে রানার গাওয়া র্যাপ গানটি ফেসবুকে শেয়ার করেন মাহমুদ হাসান তবীব নামে ঢাবির এক শিক্ষার্থী। এর পরপরই গানটি ছড়িয়ে পরতে থাকে বিভিন্ন পেইজে গ্রুপে এবং ওয়ালে ওয়ালে। রানার প্রতিভার প্রশংসা শুরু হয় যোগাযোগ মাধ্যমে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়ানো আর দশটা পথশিশুর মতো রানাও একজন। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে তার আবাস। ছোট্ট শিশুটি দারুণভাবে র্যাপ গান গাইতে পারে। ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে গান শোনানোর বিনিমেয়ে দুই চার টাকা চেয়ে নেয় মানুষের কাছ থেকে।
এভাবে ঘোরাঘুরির মধ্যেই রানার সাক্ষাৎ হয় ঢাবি শিক্ষার্থী ও তরুণ গীতিকার মাহমুদ হাসান তবীবের। রানার গান শুনে মুগ্ধ তবীব তাকে নিয়ে কিছু একটা করার চিন্তা করেন।
রানার গাওয়া ভিডিওটি শেয়ার করে তবীব লিখেন–“পথশিশুদের ট্যালেন্ট খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে পেলাম। ছেলেটির নাম রানা। অসাধারণ র্যাপ গান গায়। একদিন এস এম হলের সামনে আমার কাছে বাইকে ঘুরার আবদার করে বসে। আবদার রাখতে ওকে বাইকে নিয়ে ঘুরি। ঘুরতে ঘুরতে ওকে গান গাইতে বলেছিলাম। ও তখন আমাকে আপটাউন লোকলজের একটি র্যাপ গান গেয়ে শুনায়। শুনে আমি মুগ্ধ নয় বিমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তখনই ওর প্রতিভা সবার সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করি। তারপর ওর জীবনের কথাগুলো নিয়ে লিখি এই গান এর লিরিক। তারপর ওকে চর্চা করিয়ে রেকর্ড করি এই গান। ও অসম্ভব দ্রুতো সব আয়ত্তে নিয়ে ফেলে।
রানা অসম্ভব প্রতিভাধর একটি ছেলে। যে করেই হোক আমি ওকে স্কুলে পাঠাব। ইনশাআল্লাহ ওর প্রতিভা নষ্ট হবে না।
দুয়া করবেন সবাই রানার জন্য।”
ভালো লাগা থেকে গান নিজে গান করেন, গান লিখেন তবীব। রানার বিষয়ে বলেন, ‘গত সাত আটদিন আগে প্রথম রানার সাথে আমার দেখা হয়। ওর গান শুনে আমি মুগ্ধ। ছেলেটির ভেতর টেলেন্ট আছে। আমি ওর গান শুনে ওর জীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠি। দরিদ্র রানার জীবন সংগ্রামের গল্প শুনে সেই রাতেই ওকে নিয়ে গানটি লিখি। এরপর রানাকে অল্প সময়ের যতটুকু সম্ভব গানটি অনুশীলন করিয়ে আমার এক বন্ধুর হোম স্টুডিওতে রের্কড করি। ও খুব অল্প সময়েই সব কিছু নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিতে পারে। রেকর্ডিং এবং ভিডিও ধারণ শেষে গতকাল রাতে (বৃহস্পতিবার) কাজটি শেষ হয়। এরপর আমি ফেসবুকে ছাড়ি।’
https://www.facebook.com/Tabibmahmud2016/videos/1060181187514815/
Leave a reply