কট্টরপন্থীদের শর্ত মেনে সরে দাঁড়ালেন পাকিস্তানে দেশটির আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ। রোববার বৈঠকে, সরকারকে আরও ছয় দফা শর্ত ধরিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক দল ‘তেহরিক ই লাব্বায়েক ইয়া রসূল আল্লাহ’। দলটির দাবি- দেশে পূর্ণাঙ্গ শরিয়া আইন কার্যকর করতে হবে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন দেশটির আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রে অবশ্য তিনি ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করেন। পরে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেন একটি ভিডিও বার্তা।
সেখানে পদত্যাগী আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ বলেন, আমি বা আমার পরিবার কখনোই ধর্ম অবমাননার সাথে জড়িত নয়। জন্ম থেকেই বিশ্বাস করি, আমরা শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) -এর উম্মত। এ অবস্থায়, শপথনামায় যে ছাপার ভুল হয়েছে, তার জন্য আমাকে দায়ী করবেন না। সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
এর আগে, সেনাপ্রধান-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আসে বিক্ষোভকারীদের ওপর রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত। রাতে, মৌলবাদীদের সাথে আলাদা আলোচনায় শর্তসাপেক্ষে আসে সমঝোতা। স্বল্প পরিচিত কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দলটির দাবি- সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ না হলে চলতে থাকবে আন্দোলন।
তেহরিক ই লাব্বায়েক ইয়া রসূল আল্লাহ নামের সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক পীর মোহাম্মদ আফজাল কাদরি বলেন, সব শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে বিক্ষোভ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সরাসরি অংশ নিতে চাই। প্রতিটি পাকিস্তানিকে দেয়া হবে সহিহ্ কোরআন ও হাদিস শিক্ষা। ইসলামের দেখানো পথেই আমরা রাজনীতি করবো।
দু’বছর আগে, এক রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে খাদিম হুসেইন রিজভি’র ‘তেহরিক-ই-লাব্বায়েক ইয়া রসূল আল্লাহ’। পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ শরিয়া আইন কার্যকরের দাবি তাদের। এরই পথ ধরে, শপথনামা সংস্কারকে ধর্ম অবমাননার সাথে তুলনা করে ৬ নভেম্বর রাস্তায় নামে তারা।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply