টানা সাতদিন ধরে গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী দুরপাল্লার দিবা-নৈশ কোচ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগসহ চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা।
পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে দ্বন্দের জেরে গত শনিবার থেকে হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণণা করায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাস মালিকদের অভিযোগ, গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী বাসে ১৮০ টাকার স্থলে ২৬০ টাকা, পলাশবাড়ীতে ৫০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা, গোবিন্দগঞ্জে ৬০ টাকার স্থলে ১২০ টাকা ও শেরপুরে ২০ টাকার স্থলে ৭০ টাকা চেইনের নামে চাঁদা নির্ধারণ করে বাস মালিক সমিতি ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এছাড়া নির্ধারিত চাঁদা দিলে বাস চালকসহ স্টাফদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন শ্রমিকরা। এর প্রতিবাদে গাইবান্ধা থেকে দুরপাল্লার আলহামরা, এসআর, অরিণ, শ্যামলীসহ সকল চেয়ারকোচ চলাচল বন্ধ করে বাস মালিকরা। তবে হাতেগোনা কিছু লোকাল বাস গাইবান্ধা থেকে ঢাকা, সিলেট ও চট্রগ্রামে চলাচল করছে।
এদিকে টানা সাতদিন ধরে ঢাকাগামী দুরপাল্লার বাস চলাচল না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন হজ যাত্রীরা।
অপরদিকে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গাইবান্ধার দুরপাল্লার সকল কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। বাস চলাচল না করায় চালক, হেলপারসহ বাসের শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন।
এ ব্যাপারে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম রুহুল হক নান্নু বলেন, ‘বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের দ্বন্দের নিরসনের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথেও বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনো সমস্যার সমাধান হয়নি’।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য বাস মালিক, মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সময়ে সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
Leave a reply