বিরতি কম; কোলের শিশু রেখেই ট্রেনে চলে গেলেন মা!

|

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঢাকা-চট্রগ্রামগামী চট্টলা আন্তঃনগর ট্রেনের কম বিরতির কারণে সন্তানকে রেখেই চলে যায় মাহমুদা বেগম নামে এক নারী।

পরে অবশ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে নেমে বাসে ভৈরব এসে কোলের শিশুটিকে ফিরে পার তিনি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্রগ্রামগামী চট্টলা আন্তঃনগর ট্রেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রেনটি দুপুর ৩টা ২৩ মিনিটে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি দেয় এবং দুই মিনিট বিরতির পর ৩টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে দেয়।

এতো কম সময়ের মধ্য তাড়াহুড়া করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে মাহমুদা বেগম ভিড়ের মধ্য ট্রেনে উঠার সময় রেলস্টেশনে দাড়াঁনো অপরিচিতি এক নারীর কাছে তার কোলের শিশুটি দিয়ে ট্রেনে উঠে। এ সময় মাহমুদা বলেছিল তিনি ট্রেনে উঠার পর জানালা দিয়ে তার শিশুটিকে দিতে। কিন্ত মাহমুদা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। এজন্য তিনি তার সন্তানকে আর নিতে পারেননি।

শিশুর মা ট্রেনে ভেতর শিশুর জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে বিরতি দিলে মাহমুদা ট্রেন থেকে নেমে বাসে ভৈরব এসে শিশুটিকে ফিরে পান।

এদিকে অপরিচিতি নারী শিশুটিকে নিয়ে বিপাকে পরেন। স্টেশনের বসে থাকেন তিনি। পরে শিশুটির মায়ে কোলে শিশুটিকে ফিরিয়ে দিয়ে স্বস্তি পান তিনি।

চট্টলা ট্রেনটি ২ মিনিটের বিরতিতে আজ প্রায় অর্ধশত যাত্রী টিকিট কেটেও ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতেও পারেনি বলে অভিযোগ।

জসীম মিয়া নামের এক যাত্রীর অভিযোগ সে তিনটি টিকিট কেটে পরিবারসহ ফেনী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত ট্রেনে উঠতে না পেরে যেতে পারেনি। আমেনা বেগম নামের এক মহিলা যাত্রীও একই অভিযোগ করে।

এতো কম সময় বিরতিতে যাত্রীরা উঠানামা করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের কেবিন মাস্টার মাহবুব হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়টি আমার দেখার নয়। ভৈরবে ২ মিনিট বিরতির সিডিউল দেয়া আছে তাই নির্ধারিত সময় আমাকে গাড়ি ছাড়ার সিগনাল দিতেই হবে।

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. কামরুজ্জামান জানান, ভৈরবে বিরতির সময় দুই মিনিট। তবে ট্রেনের গার্ড যাত্রীর ভিড় দেখলে ট্রেন ছাড়ার সিগনাল কিছুটা পরে দিতে পারত। তিনি কেন সিগনাল কিছুটা সময় পরে দিলেন না সেটা তার বিষয়।

ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে আজ প্রায় অর্ধশত যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে তিনি স্বীকার করেন।

ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন, চট্টলা ট্রেনটি ভৈরবে মাত্র দুই মিনিট বিরতি দেয়। অথচ এই রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০-২০০ যাত্রী ট্রেনে উঠানামা করে।

দুই মিনিট সময়ে এত যাত্রী উঠানামা করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। আজকের দূর্ঘটনাটি কম বিরতির কারণেই ঘটছে বলে তিনি স্বীকার করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply