চার বছরে ব্রিটেন পেলো তিন প্রধানমন্ত্রী

|

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। মঙ্গলবার দলীয় ভোটাভুটিতে ৯২ হাজার ১৫৩টি ভোট পেয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হন তিনি। আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে; তারপরই দায়িত্ব নেবেন জনসন। কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি এ নেতার প্রধানমন্ত্রিত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডসহ বেশ ক’জন।

বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এক ব্রেক্সিট ইস্যুতে চার বছরে তিনবার প্রধানমন্ত্রী বদল হলো ব্রিটেনে। বুধবার নতুন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত বরিস জনসন।

বরিস জনসন যেকোনো মূল্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পক্ষে। প্রয়োজনে তিনি চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকরও করতে চান।

এর আগে, লন্ডনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জনসন। দীর্ঘদিন ধরেই কনজারভেটিভ পার্টির অন্যতম জনপ্রিয় নেতা তিনি। মেয়র থাকা অবস্থায় ব্রেক্সিটের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালান জনসন।

২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটপন্থিদের জয়ের পর জনসন দায়িত্ব পান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। থেরেসা মে’র সাথে টানাপোড়েনে সেই পদে বেশিদিন থাকা হয়নি। নেতা নির্বাচনের লড়াইয়ে যেকোনো মূল্যে বিচ্ছেদ কার্যকরের নীতি নিয়েই জেরেমি হান্টকে পেছনে ফেলেছেন জনসন। কিন্তু, তার কট্টর নীতি উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্রেক্সিটপন্থিদের মধ্যেও।

এদিকে, কয়েক দফা পিছিয়ে ব্রেক্সিট কার্যকরের পরবর্তী সময়সীমা ধার্য হয়েছে ৩১ অক্টোবর। ফলে ব্রেক্সিটের প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মাত্র ৩ মাস সময় পাবেন জনসন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply