আরিফ জেবতিক:
আমার দুটো মেয়ে সম্প্রতি ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠল। অনেক সাবধানতার পরও যখন মেয়ে দুটোর জ্বর উঠল, তখন আমি পরদিন সকালেই রক্ত পরীক্ষা করিয়েছি। ডেঙ্গু হয়েছে নিশ্চিত হওয়ায় প্রথম থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া গেছে। এই কয়দিন ডাক্তার-হাসপাতাল-ডায়গনস্টিক সেন্টারে ছুটোছুটি করতে গিয়ে আমি দেখেছি ডেঙ্গু কী ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।
ইতোমধ্যেই অনেকের মৃত্যুর খবর এসেছে, কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে এই রোগের ভয়াবহতা টের পাওয়া যাবে না। হাসপাতালগুলোতে স্থান সংকট তৈরি হয়েছে, ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলো রক্ত পরীক্ষার চাপে হিমশিম খাচ্ছে।
আমি সজ্জন মানুষ। এই দেশের বাস্তবতা, সরকারের সামর্থ্য, সরকারি আমলাদের অধিকাংশের অদক্ষতা, এই সবকিছুই আমি বিবেচনায় নেই।
কিন্তু ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাকে যতটুকু বিচলিত করেছে, তার চাইতে অনেক অনেকগুন বেশি ক্ষুব্ধ, বিরক্ত করছে দায়িত্বশীল লোকদের আচার আচরণ, তাদের কথাবার্তা। নেংটাদের কেউ বলেনি যে তারা নেংটা, তাই বলে তোরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিচের নেংটুগিরি দেখিয়ে যাবি ?
এদের মধ্যে সাঈদ খোকনের কথাবার্তা এখন রীতিমতো উৎপাতের পর্যায়ে চলে গেছে। কোনটা রেখে কোনটা কোট করব, একটা কথার চাইতে আরেকটা কথা বেশি ফাজলামো ভরা।
সাঈদ খোকন ডেঙ্গু মিয়া, মশা মারতে না পারেন ভালো কথা, আল্লাহর ওয়াস্তে মুখটা বন্ধ করেন।
আমি জানি, আপনাদের এসব মেয়র টেয়র হতে আমাদের ভোট-টোটের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। তাই আমাদের কাছে আপনাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
তবু বলি, আল্লাহর ওয়াস্তে চুপ করেন।
লোকজন অমুকের বাচ্চা তমুকের বাচ্চা বলে গালি দিচ্ছে, পথেঘাটে এসব দেখতে ভালো লাগছে না।
আপনার বাবাকে আমরা ভালোবাসতাম। তার অপমান প্রাণে সয় না।
লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া
Leave a reply