ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে লক্ষ্মীপুর। গত দুই দিনে জেলার সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫ জন রোগী। এরমধ্যে ৩ জন এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন, ২ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া রোগীরা হলেন, মাহফুজুর রহমান (২৯), কলেজ ছাত্র হৃদয় হোসেন (১৮), মো: ফাহিম (১৯), মাহবুবুর রহমান (৩০) ও রোকেয়া বেগম (৪৫)। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালেল সিনিয়র স্টাফ নার্স মিঠু রানী শীল বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ৫ জনকে ডেঙ্গু রোগী হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে অবস্থার অবনতি দেখে দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে এখানে ঔষধসহ বিভিন্ন সমস্যার কারনে আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও তিনি জানান।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলা কুড়িগ্রামেও। ঢাকায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত পরিবহন কর্মচারী কামরুজ্জামান (৩৫) সুস্থতা বোধ করায় কুড়িগ্রামে এসেছিলেন পরিবারের কাছে। বৃহস্পতিবার আবারো অসুস্থ হলে তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এ রোগ চিহ্নিতকরণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
বর্তমানে রোগী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছে।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত একাধিক সেবিকা ও কর্মচারী জানান, ডেঙ্গু রোগের লক্ষ্মণ নিয়ে গত কয়েকদিনে ১৫/১৬ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না থাকায় তাদেরকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়।
যদিও কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল জানান, হাসপাতালে একজন রোগী ভর্তি হবার খবর জেনেছি। এছাড়া জেলায় আর কোন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার বিস্তার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা ধরণের কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিভাগ নিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র আব্দুল জলিল জানান, দু’সপ্তাহ ধরে পৌর কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্ম বিরতী পালন করায় মশা নিধন কার্যক্রমসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা প্রদান ব্যহত হচ্ছে।
Leave a reply