প্রতি মিনিটে মহামারি করোনাভাইরাস কেড়ে নিচ্ছে দু’জন মানুষের প্রাণ। ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৯১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। বিশ্বে প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ হাজার। ১৯৯ দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত প্রায় ৫ লাখ ৭৩ হাজার।
চীন-ইতালিকে ছাড়িয়ে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে একদিনের ব্যবধানে নতুনভাবে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের দেহে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি; এপর্যন্ত প্রাণ গেছে ১ হাজার ৩৮৪ জনের। দু’মাসের বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস ছড়ালেও এখন মহামারির সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখছে বিশ্ব। প্রতিদিনই মৃত্যু ও সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হচ্ছে।
মৃত্যু আর সংক্রমণের রেকর্ড করে চলেছে ইউরোপ। যে তালিকায় এখনো শীর্ষে ইতালি, দেশটিতে প্রাণহানি ৯ হাজারের বেশি। একদিনের ব্যবধানে মৃত্যুহার বেড়েছে স্পেনে; আরও ৫৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ, আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও।
ড. হানস ক্লুজে, ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক, ডব্লিওএইচও তিনি জানান, প্রতিদিন ২/৩ গুণ হারে ইউরোপের দেশগুলোয় ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। যারমধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি দেশ স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড। অর্থাৎ, বিশ্বের প্রতিনিয়ত প্রাণ হারানো ১০ জন ব্যক্তির মধ্যে ৭ জনই ইউরোপীয়। ভয়াবহ বিষয় হলো আক্রান্ত ১০ জন ব্যক্তির একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তবে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা চলছে।
এই মুহূর্তে সংক্রমণ হারের দিক থেকে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। চীন-ইতালিকে টপকে দেশটিতে একদিনের ব্যবধানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি। প্রাণহানিও ঊর্ধমুখী।
মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে নিউইয়র্ক সিটি যেখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস। শহরটিতে আক্রান্ত ৩৯ হাজারের মতো মানুষ। এরপরই রয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন দেড়শ’র কাছাকাছি। বাণিজ্যিক নগরী ক্যালিফোর্নিয়ায়ও ছোঁয়াচে ভাইরাসে সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে গেলো ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজারের বেশি মানুষ। নতুনভাবে প্রাণহানি ২৩শ’র কাছাকাছি।
Leave a reply