মিয়ানমার জান্তা সরকারকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান)। এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে জান্তা। আসিয়ানের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জাপান ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা কয়োদো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ব্যাংকক পোস্টের।
জানা গেছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্না মং লুইনের সাথে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দেন আসিয়ান মুখপাত্র এরেওয়ান ইউসুফ। এ প্রস্তাবে মিয়ানমারের সামরিক সরকার সম্মতি দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি।
এ নিয়ে এরেওয়ান বলেন, মানবিক সহায়তা প্রদানকারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই অস্ত্রবিরতি। এটি রাজনৈতিক অস্ত্রবিরতি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরোক্ষভাবে একই প্রস্তাব মিয়ানমারের সামরিক শাসনবিরোধী দলগুলোর কাছেও পাঠানো হয়েছিল বলে জানান এরেওয়ান। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা প্রদানকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এখন আমরা চাই, সব দলই যেনো সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী অং সান সুচির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনা শাসনের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করে দেশটির সাধারণ জনগণ। বিক্ষোভরত জনসাধারণকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জান্তা বাহিনী, অসংখ্য সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান।
সাধারণ মানুষের প্রতি জান্তা বাহিনীর এ নির্মমতার নিন্দা জানিয়েছে একাধিক দেশ, একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে। এ সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করে আসছিল আসিয়ান। আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশগুলো মিয়ানমারকে আট মিলিয়ন ডলার সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রিুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এরেওয়ান।
Leave a reply