যে পদে নিয়োগ পেয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন, সে পদে আগে নিয়োগ পাননি কেউ। সেটিই স্বাভাবিক, কেননা শুধু বাংলাদেশ নয়, ‘টিম ডিরেক্টর’ নামে কোনো পদ কোনো ক্রিকেট বোর্ডেই নেই।
ইংল্যান্ডে অবশ্য ‘ডিরেক্ট অফ ক্রিকেট’ নামে একটি পদ রয়েছে। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের পর বর্তমানে সে পদে আছেন অ্যাশলে জাইলস। ক্রিকেট অবকাঠামো, খেলার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কোচ রাখা-না রাখার মতো বিরাট কর্মব্যাপ্তি তাদের। এদিকে খালেদ মাহমুদ সুজনের কাজের পরিধি কতখানি হবে, নতুন পদ বানিয়ে সুজনকে নিয়োগ দেয়ার ফর্মুলাটি কী- সেসব এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বিসিবি।
বিসিবি না জানালেও নিজে কোন ফর্মুলায় কাজ করবেন- তা এরই মধ্যে স্পষ্ট করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। শুরুতেই
সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো তাড়াহুড়োর মধ্যে তিনি নেই! তিনি বলেন, এটা এমন না যে আমি এলাম বা কেউ এলো, রাতারাতি সব বদলে দিল। এটা একটা প্রক্রিয়া।
পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ঢালাও কোনো পরিবর্তন ‘খুব বেশি পার্থক্য গড়তে পারবে না’ বলেই বিশ্বাস সুজনের। সেইসঙ্গে গুণগত পরিবর্তনের জন্য বড় একটা সময় প্রয়োজন জানিয়ে তিনি জোর দিচ্ছেন সমন্বয়ে। তার ভাষ্যমতে, দলে যারা আছে তারা প্রত্যেকেই সামর্থ্যবান। শুধু সমন্বয়টা করতে হবে।
এইদিকে তার টিটোয়েন্টির ফর্মুলা মানে কেবলই ছক্কা-চার নয়! এর বদলে তার স্ট্র্যাটেজি অনেকটাই ‘পরিকল্পিত ঝুঁকিনির্ভর’। তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুধু মারতে জানার ক্রিকেট না। সেটা হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজই চ্যাম্পিয়ন হতো।
Leave a reply