সড়কে শব্দদূষণ কমাতে ফ্রান্সের অভিনব প্রযুক্তি, আইন ভাঙলে অটোমেটিক জরিমানা

|

সড়কে শব্দদূষণ কমাতে বিশেষ রাডার বসাচ্ছে ফ্রান্স। কোনো গাড়ি থেকে অতিমাত্রার শব্দদূষণ হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরিমানা করা হবে। সব ধরনের গাড়িতে নজরদারির জন্য শব্দ এবং গতি পরিমাপ যন্ত্রের পাশাপাশি বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা। কেউ আইন অমান্য করলেই জরিমানার বার্তা চলে যাবে তার কাছে। প্যারিসে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে পুরো দেশে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সড়কে শব্দদূষণের তালিকায় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। যানবাহনগুলো থেকে গড়ে ৫৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হয় শহরটিতে। এই মাত্রা কমিয়ে আনতে প্রাথমিকভাবে প্যারিসের পূর্বাঞ্চলীয় ২০টি জেলায় বসানো হচ্ছে বিশেষ রাডার। যার মাধ্যমে চিহ্নিত করা যাবে কোন গাড়ি থেকে কী পরিমাণ শব্দদূষণ হচ্ছে। অতিরিক্ত শব্দদূষণের সাথে সাথেই জরিমানা ইস্যু হবে গাড়ির মালিকের নামে।

প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের সাথে বসানো হয়েছে দুটি শব্দ পরিমাপের যন্ত্র, চারটি মাইক্রোফোন এবং ওয়াইড লেন্সের ক্যামেরা। কোনো গাড়ি বেশি গতিতে চালালে এবং উচ্চ শব্দ করলেই তা ধরা পড়বে। এমনকি ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ির সাইলেন্সার খুলে কেউ শব্দ দূষণ করছে কীনা তাও যাচাই করা হবে। মূলত জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি সরকার। প্রাথমিকভাবে কার্যকর হলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই পদ্ধতি সব শহরেই চালু করতে চায় দেশটি।

শব্দদূষণ বিষয়ক টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রিস্টোফা মাইটলিকি বলছেন, গত ১০ বছর শব্দ দূষণ জনস্বাস্থ্যের ওপর কতোটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে তা সবাই বুঝতে পারছি। বিশেষ করে হার্টের ক্ষতি এবং রক্তচাপ বেড়ে যায় অতিরিক্ত শব্দের কারণে। দীর্ঘমেয়াদি সংকট থেকে মুক্তি পেতেই এমন উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আধুনিক এই পদ্ধতি চালু হলেও এখনই জরিমানা গুনতে হবে না অতিরিক্ত শব্দদূষণকারীদের। তবে আগামী বছরের শুরু থেকেই পুরোদমে কার্যকর হবে নতুন এই প্রযুক্তিটি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply