প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে ভুয়া বলে দাবি করা বেশ কিছু পোস্টে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগের বেশ কিছু মাধ্যম। সেই সব পোস্টে বলা হয়েছে, এটি মোটেও যুদ্ধ নয়, বরং সবই মিডিয়ার কারসাজি। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া এমন কিছু পোস্ট খুঁজে বের করেছে বিবিসি।
১। সংকটের অভিনয়: একজন নারী এবং পুরুষ এঁকে অপরের মুখে এমনভাবে রং মেখে দিচ্ছে যেন তা দেখতে একদম রক্তের মতোই মনে হয়।। এমন ছবি অনলাইনে শেয়ার হয়েছে কয়েক মিলিয়ন এবং দাবি করা হয়েছে, বেসামরিক মানুষরা ইউক্রেনে হতাহত হচ্ছেন না। তারা কেবল অভিনয় করছেন।
তবে ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি আসলে নেয়া হয়েছে ২০২০ সালে ইউক্রেনের টিভি সিরিজ কন্টামিন থেকে।
২। নড়তে থাকা লাশ: ক্রেমলিনের বেশ কিছু কর্তাব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও অনেক বেশি শেয়ার করা হয়, যেখানে দেখা যায় একজন সংবাদ কর্মী কাপড়ে মোড়া অনেকগুলো লাশের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার পরের ক্লিপেই দেখা যায়, একটি লাশ হঠাৎ নড়তে শুরু করেছে। পোস্টটিকে ইউক্রেনে ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়, এই যুদ্ধ পুরোটাই পশ্চিমা প্রোপাগান্ডার অংশ।
কিন্তু এই দাবিকে ভুল হিসেবে চিত্রায়িত করেছে বিবিসি। তারা জানিয়েছে, ভিয়েনা গত ফেব্রুয়ারিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি কর্মসূচিতে ভিডিওটি করা হয়েছিল। কার্বন নিঃসরণের ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত বিবিধ ঝামেলাকে রূপায়িত করার জন্য ব্যাগের মধ্যে ঢুকে পড়ার পারফর্মিং আর্ট ছিল এটি।
৩। ইউক্রেনে যুদ্ধ করছেন না স্টিভেন সিগাল: দেখে মনে হতে পারে যে, সিএনএনের ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে টুই করে বলা হচ্ছে যে, জনপ্রিয় অভিনেতা এবং রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশেরই নাগরিক স্টিভেন সিগাল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। কিয়েভের দখল নিতে লড়াই করে যাওয়া রুশ বাহিনীর মধ্যেই আছেন এই বিখ্যাত অ্যাকশন অভিনেতা। সাধারণ ব্যবহারকারীদের সাথে বেশ কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সাররাও এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন। ইনস্টাগ্রামে পোস্টটি এ পর্যন্ত দেখা হয়েছে ১৪ মিলিয়নবার।
তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছেন না বলে নিজেই জানিয়েছেন স্টিভেন সিগাল। ৬৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা গত সপ্তাহে ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশকে এক পরিবার হিসেবেই দেখেন তিনি। একটি ইতিবাচক এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা করছেন বলেও জানান সিগাল।
আরও পড়ুন: গুলি বর্ষণ চলছেই, সাবেক হেভিওয়েট বক্সার জানালেন কিয়েভের খবর
এম ই/
Leave a reply