এনকেসফট’র হাত ধরে এবার বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছে ‘স্মার্ট গ্রীড’

|

এনকেসফট কেমা’র হাত ধরে এবার বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছে ‘স্মার্ট গ্রীড।’ যা এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাওয়ার সিস্টেমে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

‘স্মার্ট গ্রীড’ একটি অত্যাধুনিক পাওয়ার সিস্টেম প্রযুক্তি, যা সকল প্রকার শক্তিকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করে। একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন নিশ্চিত করার জন্য ‘স্মার্ট গ্রীড’ ভোক্তা ও বিদ্যুৎ প্রদানকারীর মধ্যে সকল প্রকার তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ছাড়াও, রিয়েল টাইমে প্রয়োজনানুসারে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিশ্চিত করে। এতে বিদ্যুৎ প্রবাহের মান যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি নেমে আসে বিদ্যুৎ খরচ।

বাংলাদেশের আদিম, খরুচে ও জটিল সিস্টেমকে ‘স্মার্ট গ্রীড’ টেকনোলজি পরিণত করবে স্মার্ট পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমে। এই লক্ষ্যে এনকেসফট কেমা ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি একত্রিত হয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম নিয়ে আসছে ‘স্মার্ট গ্রীড’। তারা প্রথমে পরীক্ষণের উদ্দেশ্যে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পাঁচটি ৩৩/১১ কিলো ভোল্ট সাব-স্টেশনকে আধুনিকীকরণে সহায়তা করছে। স্মার্ট গ্রীড রিয়েল টাইম অ্যালগরিদমের ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়ার আউটেজ ও ভোল্টেজ ফ্রিকোয়েন্সির ব্যাঘাত আগেভাগে গণনা করে ফেলবে এবং সকলের জন্য নিশ্চিত করবে মানসম্পন্ন বিদ্যুতপ্রবাহ।

স্মার্ট গ্রীড নিয়ে গত ১৬ই মার্চ ডিপিডিসি ট্রেইনিং সেন্টারে একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন- এসই এবং প্রজেক্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেকটর এমডি গিয়াস উদ্দীন জোয়ার্দার, এমডি আবদুল আলিম, এডিএমএস বিশেষজ্ঞ মি. অতুল দিব্বেদী (ভারত), এসসিএডিএ বিশেষজ্ঞ টেলেজ মার্কো (উত্তর আমেরিকা), জিআইএস বিশেষজ্ঞ জেসিকা পাওলা (উত্তর আমেরিকা), এনকেসফ্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মি. সাখাওয়াত জীবন চৌধুরী (উত্তর আমেরিকা) এবং ডিপিডিসির সকল ডিপার্টমেন্টের স্টেকহোল্ডারস। ট্রেইনিং সেশনটি সঞ্চালনা করেছেন এনকেসফট ব্র্যান্ড কমিউনিকেশনের গ্লোবাল ডিরেকটর মিস ফারজানা ইয়েসমিন আশা। এনকেসফট লং টার্ম মর্ডানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি, আউটেজ রিডিউশন, রিনিউয়েবল এনার্জির সর্বাধিক ব্যবহার, এবং বিদ্যুতশক্তির সুষ্ঠু সম্পাদনায় ডিপিডিসিকে সহায়তা করবে বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান।

পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমে এই উন্নতির ফলে ডিজেল জেনারেটরের পল্যুশন কমে যাবে। কারণ, এটি লোডশেডিংয়ের সময় ইন্ডাস্ট্রি ও আবাসিক এলাকায় ব্যবহার করা হয়। সমস্ত জাতির কাছে স্মার্ট গ্রীড পৌঁছে যাওযার পর তৈরি হবে ভবিষ্যতের স্বপ্নের স্মার্ট সিটি দেখার এক পদক্ষেপ। যেখানে থাকবে স্মার্ট শহুরে অবকাঠামো, কমার্শিয়াল প্লট; যা এনে দিবে অগুনতি বিদেশি বিনিয়োগ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply