ক্রমাগত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, দেশ ছাড়ছে রাশিয়ার ধনীরা

|

রাশিয়ার ওপর যখন পশ্চিমাদের একের পর এক অর্থনৈতিক অবরোধের খড়গ, তখন অন্য কোনো সমৃদ্ধ দেশে প্রবেশের পথ খুঁজছে দেশটির ধনকুবেররা। তাদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশদুটিতে আছে স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয়ের সুযোগ। এছাড়া বিদেশিদের বিনিয়োগের সুযোগ দিতে নানা ধরনের আকর্ষণীয় অফারও দিচ্ছে দেশগুলো।

জৌলুসের নগরী দুবাই। ঝাঁ চকচকে শহরটি বরাবরই বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম গন্তব্য। অর্থের বিনিময়ে শহরটিতে স্থায়ী সম্পত্তি গড়তে পারে বিদেশিরাও। কেবল দুবাই নয়, বিদেশিদের জন্য বিনিয়োগের পথ খোলা রয়েছে গোটা সংযুক্ত আরব আমিরাতেই।

ইউক্রেনে হামলার জেরে সম্প্রতি পশ্চিমাদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় আমিরাতের দিকে ঝুঁকছে রুশ ধনকুবেররা। অর্থ ঢালছে দেশটির আবাসন ব্যবসায়। বিনিময়ে মিলছে ৩ থেকে ৫ বছরের রেসিডেন্সি ভিসা। সম্প্রতি দেশটিতে রুশ ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি ক্রয়ের হার বেড়ে গেছে ১০ গুণ।

দুবাইয়ের একটি লিভিং রিয়েল এস্টেটের সিইও থিয়াগো ক্যালডাস জানালেন, সাড়ে সাত লাখ দিরহাম দিয়ে সম্পত্তি ক্রয় করলেই তিন বছরের জন্য রেসিডেন্স ভিসায় আবেদনের সুযোগ পাওয়া যায় দেশটিতে যায়। যতদিন সম্পত্তির মালিকানা থাকে আবেদন নবায়ন করা যায়। এছাগা আরও ৫০ লাখ দিরহাম বিনিয়োগ করলে আবেদনের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানোও যায়। কেবল রুশ নাগরিকরা নয়, অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের নাগরিকদের বেলায়ও এ নীতি প্রযোজ্য।

একইভাবে রুশ বিনিয়োগের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে তুরস্কও। দেশটির নীতিমালা অনুযায়ী কোনো বিদেশি আড়াই লাখ ডলারের সম্পত্তি ক্রয় করলেই রেসিডেন্সি ভিসা পায়। তিন বছর মালিকানা ধরে রাখলে পায় তুর্কি পাসপোর্ট। আবাসন ব্যবসায়ীরা জানায়, সম্প্রতি সম্পত্তি ক্রয়ের চাহিদা বেড়েছে অনেক। গত এক মাসে তুরস্কে ৫০৯টি বাড়ি কিনেছে রুশরা। যা গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও তুরস্ক-আমিরাত দুই দেশের সাথেই মস্কোর সুসম্পর্ক। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত ছাড়া রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা অবরোধের বিরোধিতা করে তুরস্ক।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply