ফাইনালে অ্যালিসা হিলির মাস্টারক্লাস পন্টিং-গিলিদের ক্রিকেটেও নজিরবিহীন

|

অ্যালিসা হিলি। ছবি: সংগৃহীত

নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যালিসা হিলির ১৭০ রানের ইনিংসের জন্য প্রযোজ্য বিশেষণ নির্ণয়ে শব্দ হাতড়ে বেড়াতে হচ্ছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে হিলির ইনিংস ছাড়িয়ে গেছে সবকিছুকে, ভেঙেছে রিকি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট্রের করা রেকর্ড। নারী-পুরুষের দুই ক্রিকেট মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় ছুঁয়েছেন দেড়শ রান।

কেবল ফাইনালে অতিমানবীয় ইনিংসেই শেষ হচ্ছে অ্যালিসা হিলির কৃতিত্ব; ৫০৯ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও এই অজি উইকেটকিপার ব্যাটার। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের এক আসরের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটারকে তো বড় মঞ্চের বড় খেলোয়াড়ই বলতে হবে। আর অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে সেই ধারণাকেই পোক্ত করলেন অ্যালিসা হিলি।

২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ৩৯ বলে ৭৫ রান করে হিলি হয়েছিলেন প্লেয়ার অফ দ্য ফাইনাল। ২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ১২৯ রান করে হন প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ। আর ফাইনালে ১৭০ রান করে হয়েছেন প্লেয়ার অফ দ্য ফাইনাল। সেই সাথে, ৫০৯ রান নিয়ে আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পথে ইতিহাস বইয়ে নতুন করে কাটাছেড়ার ক্ষেত্রও তৈরি করেছেন হিলি। নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে ৫০০ রান করার কীর্তি যে এটিই প্রথম!

জীবনসঙ্গিনীর ফাইনাল খেলা দেখতে ক্রাইস্টচার্চে ছুটে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আরেক তারকা ক্রিকেটার মিচেল স্টার্ক। হিলির শতরানের পরই আইসিসির ক্যামেরা খুঁজে নিয়েছিল স্টার্ককে। আইসিসির ডিজিটাল ইনসাইডার সানজানা গানেশান তখন সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অজি স্পিডস্টার স্টার্কের। বলে রাখা ভালো, সানজানার জীবনসঙ্গী ভারতের অন্যতম ফাস্ট বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ।

স্ত্রীর খেলা দেখে সবসময়ই মুগ্ধ হয়েছেন স্টার্ক। এর আগে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হিলির খেলা দেখতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন এই অজি পেসার।

আরও পড়ুন: নারী বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply