সিনিয়রদের সিদ্ধান্তে বিবেচিত হয়নি ডমিঙ্গোর পরামর্শ, ড্রেসিংরুম নিয়ে পাপন

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সাথে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সম্পর্ক ও ড্রেসিংরুমের পরিবেশ আবারও আলোচনায় এসেছে। ডমিঙ্গোর পরামর্শ নাকি অনেকজন সিনিয়র ক্রিকেটার বিবেচনা করছেন না। ডারবান টেস্টে ২২০ রানে হারের পর বাংলাদেশের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক চলছে। ক্রিকবাজের সাথে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তেমন কিছু বিষয়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর রাসেল ডমিঙ্গোর ভবিষ্যত নিয়ে শুরু হয় কানাঘুষা। এমনকি এটাও শোনা গিয়েছিল যে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরই হতে যাচ্ছে টাইগারদের হয়ে ডমিঙ্গোর শেষ অ্যাসাইনমেন্ট। জাতীয় দলে খালেদ মাহমুদ সুজন ও জেমি সিডফন্সের অন্তর্ভুক্তিতে গুজবের পালে লাগে হাওয়া। তবে কিউইদের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টায়। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর রাসেল ডমিঙ্গোর পায়ের নিচে বাংলাদেশের মাটির শক্ত ভিত্তিই খুঁজে পেয়েছিল অনেকে। তবে ডারবান টেস্টে পরাজয়ের পর উঠে এসেছে নতুন কিছু প্রসঙ্গ।

ডারবানের কিংসমিড টেস্টে টস জয়ের পর বাংলাদেশকে ব্যাট করার পরামর্শক দিয়েছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। কিন্তু সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটারের আপত্তিতে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঘটনাটি স্বীকার করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশের পরাজয়ে হতাশ বিসিবি সভাপতি বলেন, সবার সাথে কথা না বলে এখনই এ ব্যাপারে বলা যাবে না। আমি জানি যে, ডমিঙ্গো ও ডোনাল্ড দুজনই বলেছিলেন যে, টেস্টের শেষদিকে ব্যাট করাটা কঠিন হবে ওখানে। তাছাড়া খালেদ মাহমুদ ও জালাল ইউনুস ভাইও আছেন দলের সাথে। এখানে আমার কী বলার থাকতে পারে? অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন সম্পর্কে আমাদের চেয়ে প্রোটিয়ারাই ভালো ধারণা রাখে। আমি শুনেছি, বল করার সিদ্ধান্ত মমিনুলের নিজের নেয়া। জেনেছি যে, কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আগে ব্যাট করতে চায়নি। সম্ভবত মমিনুল তাদের কথাই শুনেছে। আমার এখানে কিছুই বলার নেই। তবে সিদ্ধন্তটি পাল্টানো যেতো।

নাজমুল হাসান পাপন আরও বলেন, কোচিং স্টাফে প্রোটিয়ারা থাকার পরও তাদের পরামর্শ বিবেচনা করা হয়নি। এই সমস্যা দূর করতে না প্রলে সামনে আরও বড় সমস্যা আসবে। আমি কথা বলে দেখেছি, খেলোয়াড় ও কোচের কথায় অনেক তফাৎ। অবস্থার অতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে এরমধ্যে। তবে কোচের পরামর্শ বিবেচনা না করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অবশ্যই আমি খেলোয়াড়দের বলবো, তারা যেনো কোচিং স্টাফের পরামর্শ বিবেচনা করে।

তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে রাসেল ডমিঙ্গোকে বলির পাঁঠা বানানোর প্রবণতা ভালো লাগছে না বিসিবি সভাপতির। তিনি বলেন, আমি জানতে চাই, খেলোয়াড়েরা কি ডমিঙ্গোর কথায় মনোযোগ দেয়! তবে তার কথা যারা শুনছে তারা উন্নতি করছে। আমি যদি এখন ১৫ জন খেলোয়াড়কে ডেকে জিজ্ঞেস করি, তাদের মধ্যে ১১জনই বলবে সে ডমিঙ্গো দারুণ কোচ। তবে ২-৩ জন ক্রিকেটারের মত ভিন্ন এবং তারা কোচের কাছ থেকে কিছুই শিখছে না। তবে যারা ডমিঙ্গোর কাছ থেকে কিছুই শেখে না, তাদের জিজ্ঞেস করে কী করবো আমি? বরং, যারা তার সাথে কাজ করে তারাই ভালো বলতে পারবে যে ডমিঙ্গো কেমন কোচ।

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply