সংরক্ষণের তালিকায় থাকা ১২৬ কাঠার একটি পুকুর ভরাট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এক মৃত ব্যক্তিকে আসামি করেছে। পুকুরের অন্যতম মালিক ওই ব্যক্তির স্বজনদের অভিযোগ, পুকুর ভরাটকারী কোনো এক প্রভাবশালী মহলকে রক্ষায় এভাবে মামলা করা হয়েছে। তাদের দাবি, মৃত ব্যক্তি ব্রেন স্টোক করে যখন হাসপাতালে শয্যাশায়ী, তখন তার স্বাক্ষর জাল করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের আবেদন করা হয়।
রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ার নুরুল ইসলাম গত বছর মারা যান। সিটি কর্পোরেশন ও হাসপাতালের মৃত্যু সনদ অনুযায়ী সে তারিখ ২০২১ সালের পহেলা জুন। তার মৃত্যুর কারণ ব্রেনস্ট্রোক। মৃত্যুর ১৩দিন আগে তার স্বাক্ষরে আরডিএ’র কাছে জমা পড়ে একটি আবেদন। তাতে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া একটি পুকুর ভরাট হওয়ায় শ্রেণি পরিবর্তন করে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি চাওয়া হয়। তার স্বজনরা বলছেন, সেই সময় অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী থাকায় এই আবেদন করা তার পক্ষে সম্ভব না।স্বাক্ষরও ভুয়া বলে দাবি তাদের।
নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ের সেই ১২৬ কাঠা আয়তনের পুকুর ভরাট নিয়ে আরডিএ’র করা মামলার ৪ জন আসামির মধ্যে প্রধান হলেন মৃত নুরুল ইসলাম। মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে তার মৃত্যুর পর। বর্তমানে এই পুকুরের মালিকানা অন্তত ২৪০ জনের। পুকুর ভরাটের পর এই জমি বিক্রির চুক্তি ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে এরই মধ্যে।
আরডিএ’র রাজশাহী নগর উন্নয়ন পরিকল্পনানুযায়ী নগরীর চন্ডীপুর মৌজার ৫টি দাগের এই পুকুর সংরক্ষণযোগ্য তালিকাভুক্ত। বুড়িপুকুর নামের এই জলাশয়ের ভরাট শুরু হয় ২০১৯ সালে। সে বছর ১৫ কাঠা ভরাট হলেও পরবর্তী ৩ বছরে পুরোটাই ভরাট করা হয়েছে। বালু ফেলে পুকুর ভরাট পর জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে জুন মাস নির্ধারণ করেছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
এসজেড/
Leave a reply