কীভাবে নির্বাচিত হবেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?

|

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে দলটি নতুন নেতা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। যেভাবে কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা, যিনি ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন তাকে নির্বাচিত করা হবে সেই পদ্ধতি জানিয়েছে রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া। দলের কমপক্ষে আটজন এমপির সমর্থন থাকলে একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবেন। যদি তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে তাহলে তিনি সরাসরি দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর যদি মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা দুইজন হয় তাহলে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন।

তবে যদি মনোনীত প্রার্থীর সংখ্যা দুইজনের বেশি হয়, তাহলে ওই প্রক্রিয়া খানিকটা দীর্ঘ হয়। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্বের জন্য দুজনকে বেছে নিতে দলের এমপিরা ভোট দেবেন। প্রথম পর্বের ভোটে ১৮ জনেরও কম এমপির ভোট পাওয়া প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়বেন।

দ্বিতীয় পর্বে যে প্রার্থী ৩৬ এর কম ভোট পাবেন তিনি ছিটকে যাবেন। এরপরও প্রার্থী তিন বা ততোধিক হলে এদের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া জন বাদ পড়বেন। তারপর থেকে প্রার্থীর সংখ্যা দুই জনে না নামা পর্যন্ত এমপিদের ভোট দেয়া চলতে থাকবে আর সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থীরা বাদ পড়তে থাকবেন।

শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত যে দুজন থেকে যাবেন তাদের মধ্যে একজনকে নেতা হিসেবে বেছে নিতে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ভোট হবে। ভোটে যিনি বেশি সমর্থন পাবেন তিনিই দলটির পরবর্তী নেতা হবেন। নির্বাচন শেষে ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। রানির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নির্বাচিত নেতা হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে বরিস জনসনের পর কে হতে পারেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়ে চলছে জোর হিসেব-নিকেশ। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায় এসেছে বর্তমান ও সাবেক অন্তত ১০ মন্ত্রীর নাম। যাদের মধ্যে শুরুতেই রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রস। এছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসও আছেন আলোচনায়। এমনকি নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তালিকা থেকে বাদ দেয়া যাবে না পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নামও।

এরপরই আলোচিত হচ্ছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের নাম। ইউক্রেন সংকট মোকাবেলার সুবাদে সম্প্রতি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের কাছে সরকারের সবচেয়ে জনপ্রিয় সদস্য হয়ে উঠেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। অন্যদিকে গেল বছর পর্যন্ত জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজের কারণে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। বরিস জনসনের সাথে লকডাউন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধেও। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তালিকায় আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডাউন্টও।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply