আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে। সার্বিয়ায় নিবন্ধিত যানবাহনের ওপর কসোভোর নিষেধাজ্ঞা জারিকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকাগুলোয় দেখা দিয়েছে এ উত্তেজনা। এ অবস্থায় কসোভোয় সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা সার্বিয়ার। চাওয়া হয়েছে ন্যাটোর অনুমোদনও। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কসোভো বলছে, আবারও গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা বেলগ্রেডের। খবর এপি’র।
গত নভেম্বর থেকে উত্তেজনা শুরু হয়েছে এ দুদেশের সীমান্তে। মিত্রোভিকাসহ কসোভোর উত্তরাঞ্চলের এলাকায়গুলোয় বসবাস সংখ্যালঘু সার্বদের। কসোভোর ভূখণ্ডে থাকলেও স্থানীয় সার্বরা গাড়ির নিবন্ধনসহ প্রশাসনিক সব কাজই করেন সার্বিয়ার অধীনে। সম্প্রতি, এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় কসোভো প্রশাসন। বন্ধ করে দেয় সার্বিয়া রেজিস্টার্ড সমস্ত গাড়ি। এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন সার্ব বংশোদ্ভুত বিচারপতি, আইনপ্রণেতা,পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৬শ দায়িত্বশীল ব্যক্তি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে কসোভো সরকার। তবে, তাদের এ পদক্ষেপে পরিস্থিতি সংঘাতে রূপ নেয় বৃহস্পতিবার। সার্ব অধ্যুষিত ৪ অঞ্চলে কসোভোর নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গুলি চালায় স্থানীয় সার্বরা। গোলাগুলিতে আহত হয় কসোভোর এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন। এরপরই দেখা দেয় যুদ্ধপরিস্থিতি।
একদিকে কসোভোয় সেনা মোতায়েনে ন্যাটোর কাছে আবেদন জানিয়েছেন সার্বিয়া। অন্যদিকে কসোভোর অভিযোগ, আবারও দেশটিতে সামরিক নিপীড়ন চালানোর পায়তারা করছে বেলগ্রেড।
কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি বলেন, ২৩ বছর আগে যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিলো সার্ব বাহিনী, এখনও আবারও সেভাবেই আগ্রাসন চালানোর পায়তারা করছে সার্বিয়া। তা না হলে কেনো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে নিজেদের সেনা মোতায়েন করতে চাইবে সার্বিয়া। কসোভো এমনটি দেশ যেখানে উন্নয়ন, প্রগতিশীলতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার চর্চা হয়। এমন একটি দেশে এ ধরনের আগ্রাসনের পরিকল্পনা দুঃখজনক।
এর জবাবে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচ বলেন, নিজের ভূখণ্ড রক্ষা আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একারণেই সীমান্তে টহল বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি। এর পাশাপাশি, ন্যাটোর কাছে আবেদন করছি কসোভোয় সেনা মোতায়েনের। কারণ, জাতিসংঘের চুক্তি অনুযায়ী আমরা সেখানে ১ হাজার সেনা মোতায়েন করতে পারবো।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমাদের সমর্থন নিয়ে ২০০৮ সালে কসোভো নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও তা এখনও স্বীকৃতি দেয়নি সার্বিয়া।
/এসএইচ
Leave a reply