নারী ও পুরুষের নতুন সংজ্ঞা দিলো ক্যামব্রিজ ডিকশনারি

|

এতোদিন ‘নারী’ ও ‘পুরুষ’ শব্দ দু’টির সংজ্ঞা নির্ধারিত হতো শুধুমাত্র লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে। আর এনিয়ে দ্বন্দ্ব ও মতপার্থক্যও ছিল বিস্তর। তবে এবার চিরাচরিত এ বিতর্কে একটু ভিন্ন পথে হাঁটলো ক্যামব্রিজ ডিকশনারি। নারী ও পুরুষের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে এর নতুন সংস্করণে। খবর বিবিসির।

গত অক্টোবরের সংস্করণে ক্যামব্রিজ ডিকশনারির নারী ও পুরুষ শব্দের ব্যাখ্যায় ভিন্নতা দেখা গেছে। এর আগে এই ডিকশনারিতে নারী ও পুরুষের সংজ্ঞা ছিল জন্মগত লিঙ্গ পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। এরপর রূপান্তরকামী বা অন্যান্য লিঙ্গের সংজ্ঞা দেয়া হতো আলাদাভাবে। তবে নতুন এ সংজ্ঞায় নারী শব্দের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, যিনি নিজেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করবেন তিনিই নারী। একইভাবে পুরুষের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে, জীবনধারণের ধরন এবং যিনি নিজেকে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করবেন তিনিই পুরুষ। এ সংজ্ঞার মধ্যে রূপান্তরকামীসহ অন্যান্য সকল লিঙ্গ পরিচয় অন্তর্ভুক্ত।

গত ২৭ অক্টোবর সংজ্ঞাগুলোতে এ পরিবর্তন আনে ক্যামব্রিজ ডিকশনারি। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে দ্য টেলিগ্রাফ সংবাদমাধ্যমের।

পুরুষ ও নারীর সংজ্ঞার পাশাপাশি দু’টি উদাহরণও দেয়া হয়েছে এই সংস্করণে। পুরুষের উদাহরণে বলা হয়েছে, ‘একজন পুরুষ যাকে জন্মের পর বলা হয়েছিল তিনি নারী’ এবং ‘অস্ত্রপচারের পর চিকিৎসক তাদের পুরুষের মতো জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেছেন’। নারীর সংজ্ঞায় উদাহরণ দেয়া হয়েছে, ‘জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত প্রথম রুপান্তরকামী নারী তিনি’ এবং ‘জন্মের সময় পুরুষ বলা হলেও ম্যারি একজন নারী’।

এ নিয়ে ক্যামব্রিজ ডিকশনারির একজন মুখপাত্র বলেন, আমাদের টিম দীর্ঘদিন গুরুত্বের সাথে গবেষণা করেছেন এ নিয়ে। ইংরেজিতে কীভাবে এ দুটি শব্দের অর্থ ব্যক্তি জীবনে ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিয়ে সতর্কতার সাথে গবেষণা করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন এ সংজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply