গ্যাস সংকটে লাকড়ির চুলার যুগে ফিরে যাচ্ছে নোয়াখালী

|

শীতকালে চরম গ্যাস সংকটে পড়েছেন নোয়াখালীবাসী। আবাসিকে এ সমস্যা এখন প্রকট রূপ ধারণ করেছে। ফলে বাসা-বাড়িতে রান্নার জন্য এখন ভরসা সিলিন্ডার কিংবা লাকড়ির চুলা। এতে খরচ বেড়েছে জন সাধারণের। অবশ্য কর্তৃপক্ষের দাবি, শীত গেলে সংকটও কেটে যাবে।

নোয়াখালীর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের তথ্যমতে, এ জেলায় আবাসিকে ২৬ হাজার ৫৮৮ এবং বাণিজ্যিকে গ্যাস সংযোগ আছে ২১৩টি। তবে সম্প্রতি নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় গ্যাসের সংকট এখন প্রকট রূপ নিয়েছে। বেশি ভোগান্তিতে একলাশপুর, মীরওয়ারিশপুর ও সোনাপুর এলাকার মানুষ।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, শীতে গ্যাস না পাওয়া এখন অনেকটাই তাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প উপায়ে রান্না করতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে। একই সাথে বহন করতে হচ্ছে গ্যাসের বিলও। স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ সংযোগ এবং অপরিকল্পিতভাবে বাণিজ্যিক সংযোগের কারণে আবাসিকে গ্যাসের সংকট বাড়ছে।

সংকটের কথা স্বীকার করে নোয়াখালীর বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিউল আলম বলেন, শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গ্যাসের প্রেসারও কমে যায়। অন্যদিকে গ্রাহকরাও শীতকালে ঘর গরম করার উদ্দেশ্যে গ্যাস বেশি খরচ করেন। এর ফলে একদিকে আমাদের যেমন সরবরাহ ও প্রেসার কমে যাচ্ছে, একই সাথে চাহিদাও বাড়ছে। আর এ কারণেই শীতকালে গ্যাসের সংকট তৈরি হচ্ছে। তবে শীতকাল চলে গেলে এ সংকট কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply