চীন-রাশিয়াকে ঠেকাতে ইন্দো-প্যাসিফিকে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন বহরের পরিকল্পনা

|

বৈঠকে তিন দেশের শীর্ষ নেতারা।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন-রাশিয়ার আধিপত্য ঠেকাতে নতুন সামরিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-অস্ট্রেলিয়া। অকাস চুক্তির আওতায়, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের নতুন বহর তৈরি করবে দেশগুলো। এ লক্ষ্যে, অস্ট্রেলিয়াকে তিনটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ব্রিটেনে তৈরি করা হবে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর। এর পাশাপাশি নিয়মিত নৌ মহড়াও চালাবে এ তিন দেশ। খবর আলজাজিরার।

ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন এবং রাশিয়ার আধিপত্য রুখতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অকাস চুক্তির আওতায় ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো নৌ-ঘাঁটিতে বৈঠকে বসেন যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা।

বৈঠকের পর নতুন চুক্তির ঘোষণা আসে তিন নেতার তরফ থেকে। চুক্তিতে বলা হয়, পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনের নতুন একটি বহর তৈরি করা হবে তিন দেশের উদ্যোগে। যার ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত তিনটি সাবমেরিন সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি, আরও দুটি ভার্জিনিয়া ক্লাস সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া। এগুলোর প্রথম চালান আগামী ১০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেই সাথে ব্রিটেনে নির্মাণ করা হয়ে পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, নতুন এ অংশীদারিত্বের পেছনে আমাদের অনেক বড় উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই যে, নিজেদের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলো শুধু আমাদের নয়, পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, মুক্তচিন্তা ও গণতন্ত্রপন্হী দেশগুলোকে বলবো উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। পুরো এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমরা এক হয়েছি। শান্তি ও সমৃদ্ধির যে লক্ষ্য আমরা নির্ধারণ করেছি তা বাস্তবায়িত হবেই।

চুক্তি অনুযায়ী, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভির সদস্যরা চলতি বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের নৌঘাটিগুলোয় সাবমেরিন চালনার প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করবে। এসব সাবমেরিন তৈরি করা হবে ব্রিটিশ নকশায়। তবে এগুলো তৈরিতে তিন দেশ থেকেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ প্রসঙ্গে বলেন, ইউক্রেনে অবৈধভাবে আগ্রাসন চালিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে বেইজিং। এর পাশাপাশি ইরান ও উত্তর কোরিয়া অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আমাদের আরও সতর্ক হতে বাধ্য করেছে। তাই আগামী ২ বছরে প্রতিরক্ষাখাতে আরও ৫৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় বাড়াবে ব্রিটেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply